পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
২৬

তিনি তাঁহার মাতার নিকট হইতেই প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। স্কুল পরিত্যাগ করিবার পূর্ব্বেই সুভাষচন্দ্রের এইরূপ একদল বন্ধু ছিলেন, যাঁহারা রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের উপদেশ অনুসারে ধর্ম্মজীবন যাপন করিতে ইচ্ছুক ছিলেন। সুভাষচন্দ্র যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়ন করেন তখন তিনি তাঁহার অধিকাংশ সময় দরিদ্র নারায়ণের সেবায়, পীড়িতের শুশ্রুষায় এবং দুঃখীর দুঃখমোচনে ব্যয় করিতেন। তিনি রামকৃষ্ণ কথামৃত, স্বামী বিবেকানন্দের গ্রন্থাবলী এবং অন্যান্য ধর্ম্মগ্রন্থ পাঠ করিতেন এবং মাতার সহিত ধর্ম্মালোচনা করিতেন। এই সময়ে তিনি শ্রদ্ধাভাজন প্রবীণ শিক্ষক বেণীমাধব দাসের সংস্পর্শে আসেন। তিনি সুভাষচন্দ্রের জীবনে অত্যন্ত প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন।

 ইংরাজিতে একটী প্রবাদ বাক্য আছে—“Child is the father of man” (বাল্যজীবন ভবিষ্যৎ-জীবনের আলেখ্য)। বড় হইয়া সুভাষচন্দ্র যে একজন মহামানব হইবেন, তাহার বাল্যকালে অনেকেই তাহা বুঝিতে পারিয়াছিলেন। মহৎব্যক্তির জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা করিলে এরূপ দৃষ্টান্তের অভাব হয়। মহারাষ্ট্রবীর শিবাজী বাল্যকালে মহাভারতের রাজাদের যুদ্ধ-বিগ্রহের কাহিনী শুনিতে ভালবাসিতেন। পরিণত বয়সে তিনি একজন দিগ্বিজয়ী বীর হইয়াছিলেন। বিখ্যাত ফরাসীবীর নেপোলিয়ন বাল্যকালে বরফের গোলাগুলি লইয়া কৃত্রিম যুদ্ধের অভিনয় করিতেন। পরিশেষে তাঁহার বীরত্বের কাহিনী দিগ-