পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৯
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

আর কে থাকিতে পারে? সুতরাং তিনি সংবাদপত্র সেবার কার্য্য পরিত্যাগ করিয়া ১৯২৪ সালের ২৪শে এপ্রিল কর্পোরেশনের প্রধান কর্ম্মকর্ত্তা বা C.E.O পদ গ্রহণ করিলেন। এই পদের বেতন মাসিক ৩০০০৲ টাকা হইলেও সুভাষচন্দ্র মাত্র ১৫০০৲ টাকা বেতন গ্রহণ করিতেন। এই পদে কাহাকেও নিয়োগ করিতে হইলে বাঙ্গালা সরকারের অনুমোদন লইতে হয়। বাঙ্গলা সরকার এক মাস অতীত করিয়া সুভাষচন্দ্রের নিয়োগ অনুমোদন করিয়াছিলেন। কিন্তু তিনি অধিক দিন ঐ পদে থাকিতে পারেন নাই। ১৯২৪ সালের ২৫শে অক্টোবর “বঙ্গীয় ফৌজদারি আইন সংশোধন অর্ডিন্যান্স” আইন অনুসারে তাঁহাকে পুনরায় কারারুদ্ধ করা হইল।

 সুভাষচন্দ্রকে কারারুদ্ধ করিবার পর, পুলিশ তাঁহার গৃহ হইতে স্বরাজ্যদলের সমস্ত কাগজপত্র এমন কি কর্পোরেশনের ফাইল পর্য্যন্ত লইয়া যায়। তাঁহাকে প্রথমতঃ আলিপুর সেণ্ট্রাল জেলে রাখা হয়, এবং তৎপরে বহরমপুরের জেলে পাঠান হয়। ইহাতেও সন্তুষ্ট না হইয়া গভর্ণমেণ্ট পরিশেষে তাঁহাকে ব্রহ্মদেশের মান্দালাই জেলে স্থানান্তরিত করেন।

 সুভাষবাবুকে কারারুদ্ধ করাতে সমগ্র দেশে প্রবল বিক্ষোভের সঞ্চার হয়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন সুভাষচন্দ্রকে প্রাণের সহিত ভালবাসিতেন। তাঁহাকে বিনাদোষে গ্রেপ্তার করায় এবং বিনা বিচারে কারারুদ্ধ করায় দেশবন্ধু তাঁহার মেয়রের আসন হইতে গভর্ণমেণ্টের কার্য্যের তীব্র প্রতিবাদ করিতে লাগিলেন। এই