পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৩
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

মহাত্মা গান্ধী অনুমোদন না করাতে কলিকাতা কংগ্রেস এ প্রস্তাব গ্রাহ্য করিলেন না। কিন্তু পরবর্ত্তীকালে মহাসমিতি সুভাষচন্দ্রের অর্থই সমীচীন মনে করিয়াছিলেন।

G. O. C. (General Officer Commanding)

 ১৯২৮ সালের ডিসেম্বর মাসে কলিকাতা কংগ্রেসের ত্রিচত্বারিংশৎ অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর অধিনায়ক হইলেন। কলেজে পড়িবার সময়ে ইউনিভার্সিটি ট্রেনিং কোরে যোগদান করিয়া তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জ্জন করিয়াছিলেন, তাহা এই সময়ে তাঁহার কাজে লাগিল। তৎকালে তাঁহাদের যোদ্ধৃবেশ এবং কুচকাওয়াজ দর্শনে মহাত্মা গান্ধীর ন্যায় ব্যক্তিও ব্যঙ্গাত্মক তুলনা করিয়াছিলেন। এদেশের একদল লোকও বহুদিন পর্য্যন্ত সুভাষচন্দ্রকে জেনারেল কম্যাণ্ডিং অফিসারের অপভ্রংশ গক্ (G. O. C.) নামে অভিহিত করিতে কুণ্ঠিত হইলেন না। অপরপক্ষে দেশের চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ এ দৃশ্য দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছিলেন। এই সমরনায়কের বেশ বিশেষ করিয়া তরুণ সম্প্রদায়ের চিত্তপটে যে চিত্রখানি অঙ্কিত করিয়াছিল, তাহা তাঁহার সদ্য গঠিত আজাদ হিন্দবাহিনীর ইতিহাসের সহিত জড়িত হইয়া বর্ত্তমান সময়ে সহস্রগুণ মহিমাময় হইয়া উঠিয়াছে।