পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৩
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

হইবেন এমৎ সম্ভাবনা নাই। ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের এই ভীতি প্রদর্শনে সুভাষচন্দ্র বিন্দুমাত্র সংকল্পচ্যুত হইলেন না। তিনি নির্দ্ধারিত সময়ে ভিয়েনা পরিত্যাগ করিলেন এবং ১৯৩৬ খৃষ্টাব্দের ৮ই এপ্রিল বোম্বাই বন্দরে আসিয়া পৌঁছিলেন। বন্দরে উপস্থিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে ১৯১৮ সালের ৩নং রেগুলেশন অনুসারে পুনরায় তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হইল এবং যারবেদা জেলে অবরূদ্ধ করা হইল। ভারতের বিভিন্ন কারাগারে কিছুদিন রাখিবার পর তাঁহাকে শরৎবাবুর কার্সিয়ংস্থিত বাটীতে অন্তরীণ করা হয়। তাঁহাকে এইরূপ অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করাতে দেশমধ্যে প্রবল আন্দোলনের সৃষ্টি হইল। ১০ই মে “নিখিলভারত সুভাষদিবস” উপলক্ষে ভারতের সর্ব্বত্র ইহার প্রতিবাদ-কল্পে সভা সমিতি হইল।

কারা মুক্তি ও ইউরোপ যাত্রা

 ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পুনরায় সুভাষ বাবুর স্বাস্থ্যভঙ্গ হয়। এবং ১৯৩৭ সালের মার্চ্চ মাসে ব্রিটীশ গভর্ণমেণ্ট তাঁহাকে মুক্তিদান করেন। তাঁহার মুক্তিতে সমগ্র দেশে আনন্দের স্রোত প্রবাহিত হয়। তাঁহার স্বদেশবাসিগণ শ্রদ্ধানন্দ পার্কে এক মহতী সভার আয়োজন করিয়া এই জনপ্রিয় নেতার প্রতি তাহাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।

 মুক্তিলাভের পর কলিকাতায় আসিয়া তিনি প্রথমতঃ