পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রতিভা

 মানব যেদিন প্রতিভার পূজা করিতে শিখিয়াছে, সেই দিন হইতেই জগতে প্রকৃত ইতিহাসের সূচনা হইয়াছে। মহাপুরুষগণ নিজ নিজ জ্ঞান-গরিমা অথবা মহান্ কার্য্যকলাপের দ্বারা এই মরজগতে যে অবিনশ্বর কীর্তি রাখিয়া যান, ইতিহাস যুগযুগান্তর ধরিয়া তাহারই স্মৃতি বক্ষে ধারণ করিয়া মহিমান্বিত হয়। প্রাগৈতিহাসিক যুগের কাহিনী কিংবদন্তীতে পর্যবসিত হয়। বর্ত্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের লীলাভূমি পাশ্চাত্য ভূখণ্ডেও দুইশতবৎসর পূর্বে প্রকৃত ইতিহাসের সৃষ্টি হয় নাই। প্রাচীন সভ্যতার অরুণ আলোেক যে গ্রীস ও রোমে প্রথম প্রকটিত হয়, সেখানেও প্রতিভাবান্ ব্যক্তিগণের কাহিনী বিস্মৃতির অতলজলে নিমজ্জিত ছিল। কিংবদন্তীর সাহায্যে অনুসন্ধিৎসু মানব কিয়ৎপরিমাণে তাহার উদ্ধার করিতে সমর্থ হইয়াছে। গ্রীসের আদি কবি হোমার ভার্জিল প্রভৃতির সম্বন্ধে যে সকল তথ্য প্রকাশিত হইয়াছে, তাহা সংগ্রহ করিবার জন্য জনপ্রবাদের উপর নির্ভর করিতে হইয়াছে। তথাপি বহু তথ্য অপ্রকাশিত রহিয়াছে। হোমার অন্ধ অবস্থায় ট্রয়যুদ্ধের কাহিনী অবলম্বন করিয়া ‘ইলিয়াড’ এবং ‘ওডিসি’ নামক যে দুই মহাকাব্য রচনা করিয়া গিয়াছেন, তাহা ইহাকে কাব্য-জগতে অমর করিয়া রাখিয়াছে।