পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৬৪

 পরিশেষে সুভাষচন্দ্র বঙ্গভূমিতে অবতীর্ণ হইলেন। এই নির্ভীক তেজস্বী পুরুষ তাঁহার সমগ্র জীবনে কখনও কোন অবিচার সহ্য করিতে পারেন নাই। তিনি সকল ক্ষেত্রেই ন্যায়, ধর্ম্ম ও সত্যের মর্য্যাদা রক্ষা করিয়া স্বীয় কর্ত্তব্য নির্দ্ধারণ করিতেন। গভর্ণমেণ্টের কার্য্যের প্রতিবাদ কল্পে তিনি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রবৃত্ত হইলেন। বাঙ্গালী তাঁহাকে দেবতার ন্যায় ভক্তি করিত। সুতরাং এই আন্দোলনে হিন্দুমুসলমান সকলেই তাঁহার অনুগামী হইল। হিন্দুমুসলমানগণ সত্যাগ্রহ অবলম্বন করিয়া দিনের পর দিন কারাবরণ করিতে লাগিল। ভারত রক্ষা আইনানুসারে সুভাষবাবু অবশেষে কারারুদ্ধ হইলেন। অনির্দ্দিষ্ট কালের জন্য তিনি কারাপ্রাচীরের অন্তরালে দিনপাত করিতে লাগিলেন।

 সুভাষবাবুকে হারাইয়াও দেশবাসিগণ এই সত্যাগ্রহ ভঙ্গ না করিয়া দ্বিগুণ উৎসাহের সহিত আন্দোলন চালাইতে লাগিলেন। অবশেষে বাধ্য হইয়া ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট এই প্রস্তরীভূত বিরাট অসত্যের স্তম্ভকে মহানগরীর বক্ষ হইতে অপসারিত করিলেন।

ব্যবস্থাপক সভার সদস্য

কর্পোরেশনের অল্‌ডারম্যান।

 সুভাষচন্দ্রকে তাঁহার দেশবাসীগণ এইরূপ শ্রদ্ধা করিতেন যে তিনি কারারুদ্ধ থাকা সত্বেও তাঁহারা তাঁহাকে ব্যবস্থাপক