সভার সদস্য মনোনীত করিলেন। এই সময়ে তিনি কলিকাতা কর্পোরেশনের অল্ডারম্যান ও নির্ব্বাচিত হইয়াছিলেন।
রাজনৈতিক ইচ্ছাপত্র।
বা
Political Testament
হলওয়েল মনুমেণ্ট অপসারণ করিবার সঙ্গে সঙ্গে সুভাষবাবুকে কারারুদ্ধকরিয়া রাখিবার আর কোন প্রয়োজন নাই বুঝিতে পারিয়াও ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট তাঁহাকে মুক্তিদান করিলেন না। ইতিপূর্ব্বে তিনি মহম্মদ আলি পার্কে এক বক্তৃতা দিয়াছিলেন এবং ‘ফরওয়ার্ড’ পত্রিকায় ‘হিসাব নিকাশের দিন’ শীর্ষক এক প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন। এই উভয়ই রাজদ্রোহ সূচক আখ্যা দিয়া ভারত রক্ষা আইন অনুসারে গভর্ণমেণ্ট তাঁহাকে কারারুদ্ধ করিয়া রাখিলেন।
সুভাষবাবু এই অবরোধ অত্যন্ত অসঙ্গত বলিয়া মনে করিলেন। যদিও তাঁহার স্বাস্থ্য একেবারেই ভঙ্গ হইয়া গিয়াছিল, তথাপি তিনি ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের অন্যায় আদেশের প্রতিবাদকল্পে অনশন ধর্ম্মঘট করিবার সঙ্কল্প করিলেন। কিন্তু এই আত্মঘাতী ব্যবস্থা অবলম্বন করিবার পূর্ব্বে ১৯৪০ সালের ২৬শে নভেম্বর তারিখে তিনি বাঙ্গালার গভর্ণর বাহাদুর, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভার নিকট যে পত্রখানি লিখিয়াছিলেন, তাহা ভারতের