পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৬৮

Terence Macswiney এবং যতিনদাসের দৃষ্টান্ত আমি মানস নেত্রে অবলোকন করিতেছি। আমি বিশেষরূপেই অবগত আছি হৃদয়হীনতা ও মিথ্যা আত্ম-সম্মান বোধ ভিন্ন সেখানে আর কিছুই নাই।

 বর্ত্তমান অবস্থায় আমার জীবন দুর্ব্বিসহ বোধ হইতেছে। বিধিবিরুদ্ধ বা আইন-বিরুদ্ধ কার্য্যের সহিত আপোষ মীমাংসা করিয়া কোনওমতে নিজের সত্বাকে বজায় রাখা আমার প্রবৃত্তির একেবারেই বিরুদ্ধে। এরূপ মূল্য দিয়া জীবন রক্ষা করা অপেক্ষা জীবন বিসর্জ্জন দেওয়াই আমি শ্রেয়ঃ মনে করিতেছি। গভর্ণমেণ্ট পাশবিক বল প্রয়োগ করিয়া আমাকে কারারুদ্ধ করিয়া রাখিতে ইচ্ছা করেন, ইহার প্রতিবাদ কল্পে আমি বলিতে চাই, আমাকে মুক্তিদান করা হউক, নতুবা আমি মৃত্যুকে বরণ করিব। আরও বলিতে চাই যে আমার জীবন মরণ সমস্যা আমি নিজেই সমাধান করিব।

 এইরূপভাবে জীবন বিসর্জ্জন করিলে আপাততঃ কোনও লাভ হইবেনা একথা সত্য বটে; কিন্তু স্বার্থত্যাগ মাত্রেরই একটা সুফল আছে। একমাত্র স্বার্থত্যাগ ও আত্মবলিদান করিতে পারিলেই এক একটি মহৎ উদ্দেশ্য সংসাধিত হইতে পারে—ইহা সবদেশে এবং সর্ব্বকালেই একটি চিরন্তন সত্য। যাহারা ধর্ম্মার্থে জীবন বিসর্জ্জন করে, তাহাদের রক্তবিন্দুর উপরেই ধর্ম্মমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়।

 এই নশ্বর জগতে সকল পদার্থই ধ্বংশ প্রাপ্ত হইবে। কিন্তু