পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৭২

হইয়াছিল, তিনি আরোগ্য না হওয়া পর্য্যন্ত তাহা স্থগিত রহিল। মুক্তিলাভের পর সুভাষচন্দ্র তাঁহার এলগিন রোডের বাটীতে বাস করিতে লাগিলেন।

সুভাষচন্দ্রের অন্তর্ধান

 সুভাষচন্দ্র তাঁহার এলগিন রোডের বাসভবন হইতে কিরূপে অন্তর্ধান হইয়াছিলেন তাহা এখনও গভীর রহস্য জালে আবৃত। আকালী দলের বিশিষ্ট নেতা মাষ্টার তারাসিং তাঁহার মাসিক পত্র “সন্ত সিপাহী”তে যে বিবরণ দিয়াছেন তাহা হইতে জানা যায় যে শ্রীযুত সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৩৯ সালে একবার অন্তর্ধানের চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু তখন তাঁহার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ১৯৪০ সালের নভেম্বর মাসে অসুস্থতার জন্য মুক্তিলাভের পর নেতাজী কলিকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক সর্দ্দার নিরঞ্জন সিং তালিবের নিকট রূশিয়ায় গমনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তালিব পাঞ্জাব কম্যুনিষ্ট পার্টি এবং আকালীদের সহিত পরামর্শ করিয়া স্থির করেন যে কম্যুনিষ্টগণ শ্রীযুত সুভাষচন্দ্র বসুকে রাশিয়ায় প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কার্য্যে পরিণত হয় নাই। ইতিমধ্যে সুভাষচন্দ্র অন্তর্ধান হন।

 শ্রীযুত বসু কলিকাতা ত্যাগ করিবার ২৬ দিন পরে তাঁহার অন্তর্ধানের কাহিনী প্রচার করা হয়। তিনি ১৯৪০ সালের ১৩ই ডিসেম্বর মোটরে কলিকাতা ত্যাগ করেন, এবং বর্দ্ধমানে পাঞ্জাব