পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৫
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

তৎক্ষণাৎ বার্লিনের সহিত যোগাযোগ স্থাপন করেন। তাহার পর রাশিয়ার উপর দিয়া বিমানে তাঁহাকে বার্লিনে লইয়া যাইবার ব্যবস্থা হয়।

 লাহোরের Daily Milap পত্রে লালা উত্তমচাঁদ নামক একজন রেডিও ব্যবসায়ী নেতাজীর সম্বন্ধে যে বিবরণ দিয়াছেন তাহা হইতে জানা যায় যে নেতাজী কাবুলে গিয়া প্রথমে এক লরিচালকের হোটেলে অবস্থান করেন। তিনি পাঠানের বেশে সজ্জিত ছিলেন। সে সময়ে তাঁহার শ্বশ্রু দীর্ঘ হইয়াছিল এবং পাঠানদিগের ন্যায় মস্তকে ফেজও পরিয়াছিলেন। তাঁহার সঙ্গে একজন পেশোয়ার বাসী দোভাষী ছিল। এই সময়ে আফগান ডিটেক্‌টিভ বিভাগের জনৈক কর্ম্মচারি সন্দেহক্রমে সুভাষ বাবুকে নানাবিধ প্রশ্ন করেন। দোভাষী পুলিশ-কর্ম্মচারিকে বুঝাইয়া দেন যে ইনি একজন পেশোয়ারি ভদ্রলোক, কিন্তু ‘কালা ও বোবা।’ গোয়েন্দা পুলিশ ইহাতেও সন্তুষ্ট না হওয়াতে নেতাজী তাঁহার রিষ্টওয়াচটি প্রদান করিয়া তাহার হস্ত হইতে উদ্ধারলাভ করেন।

 অতঃপর নেতাজী লালা উত্তমচাঁদের বিষয় অবগত হন, এবং তাঁহার আবাসে গিয়া কয়েকদিন অবস্থান করেন। তাহার পর তিনি বিমানযোগে বার্লিন যাত্রা করেন।

 নেতাজীকে আশ্রয় দেওয়াতে লালা উত্তমচাঁদ পুলিশ কর্ত্তৃক নানাপ্রকারে নির্য্যাতিত হইয়াছিলেন। প্রথমতঃ তাঁহাকে কাবুল হইতে পেশোয়ারে পাঠাইয়া দেওয়া হয়। একরাত্রি গৃহবাস