পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৭৬

করিবার পরই সি, আই, ডি বিভাগ হইতে পুনরায় তাঁহাকে বন্দী করা হয় এবং সীমান্ত প্রদেশ, লাহোর এবং পাঞ্জাবের ভিন্ন ভিন্ন জেলে চারি বৎসর আটক রাখিবার পর সম্প্রতি তাঁহাকে ছাড়িয়া দেওয়া হইয়াছে।

 অল্পদিন হইল ভারত সরকারের পররাষ্ট্রদপ্তরের সেক্রেটারি মিঃ এইচ, জি, ওয়েটম্যান নয়া দিল্লীর কেন্দ্রীয় পরিষদে যে বিবৃতি দিয়াছেন তাহা হইতে জানা যায় যে ১৯৪২ সালের মে মাস হইতে জুন মাসের মধ্যে লালা উত্তমচাঁদকে গ্রেপ্তার ও আফগানিস্থান হইতে বহিষ্কার করা হয়। পরে তাঁহার সম্পত্তি নীলামে বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ তাঁহার নামে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হইয়াছে।

 এদিকে সুভাষ বাবু তাঁহার এলগিন রোডের বাটী হইতে নিরুদ্দিষ্ট হওয়ায়, কলিকাতা পুলিসকোর্টে তাঁহার বিরুদ্ধে যে মোকর্দ্দামা চলিতেছিল, দিনের পর দিন তাহা মুলতুবী রাখা হইতেছিল। তাঁহাকে আদালতে হাজির করান অসম্ভব হওয়ায় গভর্ণমেণ্ট তাঁহার এলগিন রোডের বাড়ীর অংশ ক্রোক দিলেন। ক্রোকের পর ছয় মাসের মধ্যেও তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায়, ১৯৪৫ খৃষ্টাব্দের ১৬ই আগষ্ট তারিখে উহা নীলাম হইবে বলিয়া ঘোষণা করা হয়। নির্দ্দিষ্ট দিবসে কোনও খরিদার উপস্থিত না হওয়ায়, পুনরায় অপর একটি দিন ধার্য্য করা হয়। দ্বিতীয় দিনেও কোন খরিদার উপস্থিত না হওয়াতে অনির্দ্দিষ্ট কালের জন্য নীলাম স্থগিত রাখিবার ব্যবস্থা হয়।