পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮১
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

বাবু আনন্দ সহকারে গ্রহণ করেন। রাসবেহারী বাবু League এর সর্ব্বোচ্চ পরামর্শদাতা বলিয়া স্থিরীকৃত হয়।

 পূর্ব্ব এশিয়ায় যে সময়ে শ্রীযুক্ত রাসবেহারী বসু ও শ্রীযুত সুভাষচন্দ্র বসুর অদম্য উৎসাহে স্বাধীন সংগ্রামের উয্যোগ আয়োজন চলিতেছিল, তাহার অব্যবহিত পূর্ব্বেই ১৯৪২ সালের ৮ই আগষ্ট তারিখে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতীয় জাতীয় মহাসমিতি ‘ভারত ত্যাগ কর’ প্রস্তাব গ্রহণ করিলেন। সমগ্র ভারতবর্ষে দাবানল জ্বলিয়া উঠিল। কংগ্রেস নেতৃগণ একে একে কারারুদ্ধ হইতে লাগিলেন। ভারতীয়গণ দলে দলে প্রাণ বিসর্জ্জন করিতে লাগিলেন। ব্রিটিশ বিমান-বহরের বোমা বর্ষণে শত শত গ্রাম ও নগর বিধ্বস্ত হইতে লাগিল।

আজাদ হিন্দ ফৌজ

 এই সংবাদ তড়িদ্বেগে পূর্ব্ব এশিয়ায় বিস্তৃত হইয়া পড়িল, এবং সদ্যগঠিত সেনা বাহিনীর মধ্যে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হইল। অনতিবিলম্বে ক্যাপ্টেন মোহনসিংএর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের গঠন কার্য্য আরম্ভ হইল। মালয়ে যে সকল ভারতীয় সৈন্য জাপানীদের নিকট আত্মসমর্পণ করিয়াছিল, তাহাদের লইয়াই প্রথম সেনাবাহিনী গঠিত হইল।

 ৪ঠা জুলাই তারিখের সভায় সুভাষবাবু যে বক্তৃতা দেন তাহাতে জানা যায় যে এই জাতীয় বাহিনীকে চালিত করিবার