বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাঙ্গালীর সার্কাস - অবনীন্দ্রকৃষ্ণ বসু (১৯৩৬).pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর সার্কাস

অবস্থা মর্ম্মস্পর্শিনী ভাষায় বর্ণিত আছে; চরকার পুনঃপ্রবর্তন-প্রয়োজনের ইঙ্গিত এই বাঙ্গালীর গানে প্রথম প্রদত্ত হইয়াছিল এবং স্বাবলম্বন ভিন্ন যে জাতির উত্থানের অন্য উপায় নাই এই সঙ্গীতে সেই কথা সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত হয়। এক কথায় এই মেলাক্ষেত্রে সঙ্গীতে, বক্তৃতায় ও প্রদর্শনী সাহায্যে যে দেশাত্মবোধের ভাব প্রথম অঙ্কুরিত হয়, তাহাই কালক্রমে কংগ্রেসরূপ মহামহীরুহের আকার ধারণ করিয়া আজ সমগ্র ভারতে পরিব্যাপ্ত হইয়াছে। আমাদিগের দেশের যত কিছু সদনুষ্ঠানের মূল খুঁজিতে যাইলে এই মেলায় যাইয়া পৌঁছিতে হয়। বাঙ্গালীর সার্কাসের গোড়ার কথা বলিতে গেলেও এই মেলার কথা বলিতে হয়। এই মেলারই প্রভাবে এবং এই মেলারই সম্পাদক নবগোপাল মিত্রের উৎসাহ ও চেষ্টায় তখন দেশে—প্রধানতঃ এই কলিকাতা মহানগরীতে—ব্যায়ামশালা প্রতিষ্ঠার ও ব্যায়ামচর্চ্চার সাড়া পড়িয়া যায়।

 “যদিও সে সময়ে অল্পসংখ্যক বাঙ্গালী কুস্তি নামক ব্যায়ামে মনোযোগী থাকিতেন, কিন্তু সে কুস্তিগীরদিগের কার্য্যতৎপরতা থাকিত না। ইহা দেখিয়া উক্ত নবগোপাল বাবু ও মনোমোহন বাবুর উদ্যোগে উক্ত জাতীয় সভার অধীনে একটি রীতিমত ব্যায়াম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তাহাতে এক জন বেতনভোগী ইংরাজ বালকগণকে Gymnastic শিক্ষা দিতেন। এই বিদ্যালয় হইতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া শ্রীযুক্ত শ্যামাচরণ ঘোষ হুগলীকলেজের