১৭৩৩ খৃষ্টাব্দে রাজা ছত্রসালের মৃত্যুকালে বাজী রাও তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলেন। সেই সময়ে রাজা তাঁহাকে রাজ্যের তৃতীয়াংশ দান করেন। তদবধি বুন্দেলখণ্ডে রাজ্যলাভ।বুন্দেলখণ্ড চৌথ পদ্ধতিসূত্রে মহারাষ্ট্র সাম্রাজ্যের আশ্রয়াধীন হয়। এইরূপে বঙ্গষকে পরাজিত করিয়া বাজী রাও বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে বার্ষিক ৩৩॥০ লক্ষ টাকা আয়ের রাজ্যাংশ ও পান্নার হীরক খনির তৃতীয়াংশ লাভ করেন। ১৭৩৮ খৃঃ মহম্মদ খান বঙ্গষ দ্বিতীয় বার বুন্দেলখণ্ড আক্রমণ করিয়াছিলেন। সেবারেও বাজী রাও ছত্রসালের পুত্র জগৎরাজের সহায়তায় ধাবিত হন। পুনর্ব্বার বঙ্গষের দুর্দশার একশেষ হয়। কথিত আছে, তিনি “নারী-বেশে” বাজী রাওয়ের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া প্রাণভিক্ষা ও বুন্দেলখণ্ডকে স্বাধীন হিন্দুরাজ্য বলিয়া স্বীকার করেন।
গোবিন্দরাও বুন্দেলা নামক জনৈক ব্রাহ্মণ-সর্দ্দারের প্রতি পূর্ব্বোক্ত ৩৩ লক্ষ ৫০ সহস্র মুদ্রা আয়বিশিষ্ট প্রদেশের শাসনভার অর্পণ করা হয়। কাল্পী ও সাগর প্রভৃতি নগর গোবিন্দ রাও কর্ত্তৃক স্থাপিত হয়। বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে মহারাষ্ট্র শক্তির প্রতাপ গোবিন্দ রাওয়ের বাহু-বলেই অক্ষুণ্ণ হইয়াছিল। পানিপথের যুদ্ধে ইঁহার মৃত্যু ঘটে।