একটি ক্ষুদ্র পল্লীতে সাধারণ ব্রাহ্মণ-বংশে জন্ম-গ্রহণ করিয়া স্বীয় অলৌকিক শক্তি-প্রভাবে মহারাষ্ট্র-বাসীর অধিনায়কত্ব লাভ করেন। সমুদ্র-বলয়াঙ্কিতা ভারত-ভূমিকে বিধর্মী যবনদিগের দাসত্ব পাশ হইতে বিমুক্ত করিয়া হিন্দুস্থানে অখণ্ড হিন্দু-সাম্রাজ্য-স্থাপন ও উচ্ছিন্ন- প্রায় হিন্দু-ধর্ম্মের সম্যক্ প্রতিষ্ঠা—এই মহাপুরুষের জীবনের প্রধান লক্ষ্য ছিল। তিনি অকালে কালগ্রাসে পতিত হওয়ায় তাঁহার সে উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধ হয় নাই। তথাপি তিনি তাঁহার স্বল্প অয়ুষ্কালের মধ্যে ভারতের ভিন্ন ভিন্ন মোসলমান শক্তিকে দমিত করিয়া দক্ষিণে তুঙ্গভদ্রা-তীর হইতে উত্তরে যমুনা-তীর পর্যন্ত একটি বিশাল হিন্দু-সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছিলেন। ভারতের বিগত সহস্র বৎসরের ইতিহাসে, এমন কি, দুর্দ্ধর্ষ শিখ ও রাজপুতদিগের ইতিবৃত্তেও এরূপ মহতী চেষ্টার উদাহরণ—এরূপ অসাধ্যসাধনের দৃষ্টান্ত আর পাওয়া যায় না। যে মহাপুরুষ যবনশাসিত ভারতে এই দুস্কর কার্য্য সাধনপূর্ব্বক চির-প্রণষ্ট হিন্দু-গৌরবের পুনঃ-
প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, তাঁহার নাম বাজী রাও। যে নীতি অবলম্বন করিয়া বাজী রাও এই দুষ্কর কার্য্য-সাধনে যত্নশীল হইয়াছিলেন, তাহার সম্বন্ধে এই পূর্ব্বভাষে কয়েকটি কথা বলা প্রয়োজন। ছত্রপতি মহাত্মা শিবাজী