হইলেন, এবং দিল্লীতে গিয়া বাদশাহের সাক্ষাৎকার লাভ করিলেন। তখন বাদশাহ বাজী রাওয়ের সহিত যে সন্ধি করিয়াছিলেন, তাহা ভুলিয়া গিয়া নিজামকে মারাঠাগণের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিতে লাগিলেন। কেবল তাহাই নহে, তিনি সামন্ত রাজপুত নরপতিদিগকেও নিজামের সহায়তা করিবার জন্য আদেশ করিলেন। বুন্দীর রাজা ভিন্ন আর সকলেই এ সময়ে নিজামের সহিত মিলিত হইয়াছিলেন। মহারাজ সওয়াই জয়সিংহও এই অভিযানে স্বীয় পুত্রকে সসৈন্যে নিজামের সহকারিতার জন্য প্রেরণ করিতে বাধ্য হন। রোহিলারাও এই যুদ্ধে যোগদান করিয়াছিল। এইরূপে দিল্লীশ্বরের সমস্ত সামন্ত নরপতিকে সঙ্গে লইয়া যখন নিজাম গঙ্গা-যমুনার অন্তর্ব্বেদী হইতে মালবের অন্তর্গত সিরোঞ্জে উপস্থিত হইলেন, তখন তাঁহার নিকট ৫০ সহস্র সৈন্য সংগৃহীত হইয়াছিল। তদ্ভিন্ন কোটার রাজা দুর্জ্জন সাল ও অযোধ্যার নবাব সাদত খানের ভ্রাতুষ্পুত্র বিংশতি সহস্র সৈন্য সহ নিজামের সহিত মিলিত হইবার জন্য যাত্রা করিয়াছিলেন। অওরঙ্গাবাদেও দশ বার হাজার মোগল সৈন্য বাজী রাওকে বাধা দিবার জন্য প্রস্তুত ছিল। অধিকন্তু নিজামের তোপখানাও অতি উৎকৃষ্ট ছিল। দিল্লী ত্যাগকালে নিজাম-উল্-মুল্ক বাদশাহের নিকট প্রতিজ্ঞা
পাতা:বাজী রাও - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১৪০
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মহারাষ্ট্রীয়দিগের বিরুদ্ধে অভিযান
১৩১
