স্বামীজী ভিক্ষার দ্বারা বহু অর্থ সংগ্রহ করিয়াছিলেন। তদ্ভিন্ন মহারাজ শাহু ও মহারাষ্ট্র সর্দ্দারেরা তাঁহাকে দেবসেবার উদ্দেশ্যে যে সকল ভূমিদান করিয়াছিলেন, তাঁহারও বার্ষিক আয় প্রায় ষোড়শ সহস্র মুদ্রা ছিল। তাঁহার হস্তাশ্বপদাতিকাদির সংখ্যাও নিতান্ত অল্প ছিল না। তিনি মৃত্যুকালে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৩৭৸৴৻৫ রাখিয়া গিয়াছিলেন! এতদ্বাতীত উৎকৃষ্ট রত্নালঙ্কারাদিও তাঁহার ধনাগারে ভূরিপরিমাণে সঞ্চিত ছিল। কিন্তু এইরূপ অতুল ধনসম্পত্তির অধিকারী হইয়াও স্বামীজী স্বয়ং কখনও গোমূত্র ও তক্র ভিন্ন অন্য দ্রব্য উদরস্থ করিতেন না! তাঁহার সঞ্চিত অর্থের অধিকাংশই তিনি সার্ব্বজনিক হিতার্থে ব্যয় করিতেন। অবশিষ্টাংশ দেবসেবায় ব্যয়িত হইত। তিনি দেশের নানাস্থানে দেবালয় ও ধর্ম্মশালাদির প্রতিষ্ঠা এবং কুপতড়াগাদির খননে প্রায় ৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৫ শতাধিক মুদ্রা ব্যয়িত করিয়াছিলেন। তাঁহার প্রিয় শিষ্য বাজী রাও ও অন্যান্য মারাঠা সর্দ্দারগণ তাঁহার নিকট লক্ষাধিক মুদ্রা ঋণ-সাহায্য প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। দেশের পথ ঘাটের সংস্কারের জন্য তিনি প্রায়ই জমীদার ও সর্দ্দারদিগকে আদেশ করিতেন। তাঁহার আদেশ সহসা কেহ লঙ্ঘন করিতে পারিত না। তিনি ভিক্ষা-সংগ্রহের জন্য দেশের সর্ব্বত্র ভ্রমণ পূর্ব্বক লোকের অভাব অভিযোগাদির বিষয় রাজপুরুষদিগের কর্ণগোচর করিয়া যথাসম্ভব তৎপ্রতীকারের ব্যবস্থাও করাইতেন।
ব্রহ্মেন্দ্র স্বামীর দেশহিতৈষণা অতি উচ্চ অঙ্গের ছিল। যাহাতে মহারাষ্ট্র ধর্ম্ম ও মহারাষ্ট্র সাম্রাজ্যের উন্নতি হয়, সে বিষয়ে তিনি সর্ব্বদা যত্ন করিতেন। কোঙ্কণ হইতে সিদ্দি ও ফিরিঙ্গীদিগের সম্পূর্ণ উচ্ছেদসাধনের জন্য তিনি বহুবার মহারাজ শাহু, বাজীরাও, চিমণাজী আপ্পা,