বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাজী রাও - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
বাজীরাও

অনুর্ব্বর। এই কারণে এই দেশের লোকেরা দৃঢ়কায়, কষ্টসহিষ্ণু ও বলশালী। মহারাষ্ট্র দেশের জলবায়ু ভারতবর্ষের অনেক স্থানের জলবায়ু অপেক্ষা স্বাস্থ্যকর।

 সহ্য পর্ব্বত বা পশ্চিমঘাট নামক গিরি-শ্রেণীর উত্তরাংশ মহারাষ্ট্র দেশকে পূর্ব্ব ও পশ্চিমে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছে। সহ্য পর্ব্বতের কোঙ্কণ। পূর্ব্বাংশ কোঙ্কণ (দেশীয় ভাষায় কোঁকন) নামে প্রসিদ্ধ। এই প্রদেশের এক দিকে নিয়ত গর্জ্জনশীল, ঝটিকাবর্ত্তময় আরব সমুদ্র প্রসারিত ও অপর দিকে দিগন্ত-বিস্তীর্ণ সহ্যাদ্রির শ্বাপদ সঙ্কুল, সহস্র শীর্ষ বিশাল দেহ বিরাজমান। কোঙ্কণ প্রদেশের দৈর্ঘ্য প্রায় চারিশত মাইল; কিন্তু উহার সর্ব্বাপেক্ষা আয়ত অংশের বিস্তার ৫০ মাইলেরও অধিক নহে। এই সঙ্কীর্ণ ভূমিখণ্ড অধিকাংশ স্থলেই শৈলময় অরণ্য শ্রেণীতে সমাবৃত। এখানকার অধিবাসীরা প্রকৃতিগুণে আত্মরক্ষায় কুশল, শ্রমশীল, সরলস্বভাব ও স্বল্প-সন্তুষ্ট।

 কোঙ্কণ প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে “জঞ্জীরা” নামে একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ আছে। ঐ দ্বীপটি জঞ্জীরা। এক্ষণে কুলাবা (কোলাবা) জিলার অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। ইংরাজদের এদেশে রাজ্য স্থাপনের পূর্ব্বে জঞ্জীরা দ্বীপ ও তৎচতুষ্পার্শ্ববর্তী প্রদেশ আবিসীনীয় বা হাব্‌সীদের