জ্যেষ্ঠ পুত্র সাম্ভাজী মোগল আক্রমণে বাধা দিবার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কিন্তু বুদ্ধিদোষে তাঁহাকে মোগলদিগের হস্তে প্রাণত্যাগ করিতে হয়।দেশের অবস্থা। তাঁহার স্ত্রী ‘এসু বাঈ' (যশোদা বাঈ) ও পুত্র শাহু দিল্লীশ্বরের বন্দী হন। তখন শিবাজীর কনিষ্ঠ পুত্র রাজারাম সিংহাসনারোহণ করিয়া মোগলদিগের শত্রুতাচরণে প্রবৃত্ত হইলেন। ১৭০০ খৃঃ মহারাজ রাজারামের দেহাত্যয় ঘটিলে, তদীয় মহিষী তারা বাঈ মহারাষ্ট্র রাজ্যের কর্ত্তৃত্ব গ্রহণ করেন। মোগলেরা ভাবিয়াছিলেন, রাজারামের মৃত্যুতে মহারাষ্ট্রীয়েরা হতাশ হইয়া শান্তভাব ধারণ করিবেন। কিন্তু তাহা হইল না। তারা বাঈর উত্তেজনায় মহারাষ্ট্রীয়েরা মোগলদিগকে স্বদেশ হইতে বিতাড়িত করিবার জন্য প্রাণপণে যুদ্ধ চালাইলেন। যে ব্যক্তি কোনরূপে একটী ঘোড়া ও একখানি বল্লম সংগ্রহ করিতে পারিল, সে-ই মোগলদিগের পশ্চাদ্ধাবনে প্রবৃত্ত হইল।
বালাজী যখন “সাসবড়ে” পদার্পণ করেন, তখন তারা বাঈর অমাত্য রামচন্দ্র পন্ত, প্রতিনিধি পরশুরাম ত্র্যম্বক, সচিব শঙ্করজী নারায়ণ ও সেনাপতি ধনাজী যাদব প্রভৃতি মহারাষ্ট্রীয় সর্দ্দারগণের বীর্য্যবিক্রমে সমগ্র দক্ষিণাপথ কম্পিত হইতেছিল। মোগলেরা মহারাষ্ট্রীয়দিগের রুদ্রমূর্ত্তিদর্শনে ভীত