হইয়া পলায়নপর হইয়াছিলেন। মোগল-শাসিত প্রদেশে মহারাষ্ট্র আধিপত্য বিস্তৃত হইতেছিল। সুতরাং কার্যক্ষম ও বুদ্ধিমান্ ব্যক্তির পক্ষে এসময়ে মহারাষ্ট্রদেশে কার্য্যক্ষেত্রের অভাব ছিল না। বালাজীও উদ্যমশীল ও কার্য্যকুশল ব্যক্তি ছিলেন। এই কারণে রাজধানী সাতারায় পদার্পণ করিবার অল্পদিবসের মধ্যেই তাঁহার রাজকার্য্যে প্রবেশ-লাভ ঘটিয়াছিল।
সাতারায় মহাদেব কৃষ্ণ জোশী নামক একব্যক্তি বাস করিতেন। তাঁহার সহিত ভানুদিগের পরিচয় ছিল। এই জোশী মহোদয়ের চেষ্টায় কার্য্যলাভ। বালাজী ও তাঁহার সহচরেরা তারা বাঈর প্রতিনিধি পরশুরাম ত্র্যম্বকের নিকট হইতে একটা তালুকের রাজস্ব আদায় করিবার ইজারা প্রাপ্ত হইলেন। সে কার্য্যে তাঁহাদিগের দক্ষতা দেখিয়া রাজপ্রতিনিধি মহাশয় বালাজী ও অম্বাজীকে সেনাপতি ধনাজী (ধনঞ্জয়জী) যাদব রাওয়ের অধীনতায় রাজস্ব-বিভাগে কারকুনের পদে বার্ষিক শতমুদ্রা বেতনে নিযুক্ত করিয়া দিলেন (১৭০৬ খৃষ্টাব্দ)। ভানুত্রিতয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ রামাজী-মহাদেব সচিব শঙ্করজী নারায়ণের অধীনতায় কর্ম্ম পাইলেন। অবশিষ্ট দুইজন বালাজীর আশ্রয়েই অবস্থিতি করিতে লাগিলেন।





