হইয়াছিল। আবার তাঁহারই শাসনকালে মহারাষ্ট্রশক্তি পানিপথে বিষম আঘাত প্রাপ্ত হইয়া কিছু দিনের জন্য বিনম্র হইয়া পড়ে।
সুপ্রসিদ্ধ রঘুনাথরাও বা রাঘোবা বাজী রাওয়ের দ্বিতীয় পুত্র। তিনি বিক্রমে বহুলাংশে পিতাররঘুনাথ রাও। সমকক্ষ হইয়াছিলেন। বাজীরাও যে “আটক” নগরে মহারাষ্ট্রীযদিগের বিজয় বৈজয়ন্তী উড্ডীন করিবার সংকল্প করিয়াছিলেন, তাহা রঘুনাথ রাও নিজ শৌর্য্যবলে সত্য ঘটনায় পরিণত করেন। কিন্তু রাজনীতিক দূর দৃষ্টির অভাবে ও স্ত্রীর বশীভূত হওয়ায় রঘুনাথের শেষ জীবন কলুষময় ও বিড়ম্বনার আধার হইয়া উঠে। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্র সাম্রাজ্যেরও বহুল ক্ষতি সাধিত হয়। সে যাহা হউক, এতদ্ভিন্ন বাজীরাও আরও দুইটি অপত্য লাভ করিয়াছিলেন। তাঁহাদের নাম রামচন্দ্র ও জনার্দ্দন পন্ত। তাঁহারা উভয়েই অল্পবয়সে ইহলোক পরিত্যাগ করেন। বাজীরাও স্বীয় পুত্রগণকে সুশিক্ষিত করিয়াছিলেন। বালাজী ও রঘুনাথরাওকে যুদ্ধবিদ্যার সহিত রঘুবংশ প্রভৃতি সংস্কৃত কাব্যও আয়ত্ত করিতে হইয়াছিল।




