মধ্যে গজনবী-বীর মামুদের আক্রমণই বিশেষ প্রসিদ্ধ। খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে এই মহাবীর অর্থলোভে আকৃষ্ট ও ধর্ম্মোন্মাদে উন্মত্ত হইয়া উপর্য্যুপরি সপ্তদশ বার ভারতভূমিকে হিন্দুসন্তানের রক্তে প্লাবিত করিয়া, তাহার অপরিমেয় ধনরাশি লুণ্ঠন করেন। তাঁহার চেষ্টায় মোসলমানদিগের ভারত-বিজয়ের পথ সুগম হয়। ইহার পর প্রায় সাত শত বৎসর পর্যন্ত এই দেশ মোসলমানদিগের বিলোল দৃষ্টি অতিক্রম করিতে পারে নাই।
গজনবী বংশের অধঃপতনের পর ঘোরবংশীয় শাহাব উদ্দীন নানাদেশীয় রণ-কর্কশ সৈনিকদল সংগ্রহ-পূর্ব্বক ভারতবর্ষ বিজয়ের আয়োজন করেন। তাঁহার নির্দেশক্রমে পরিচালিত হইয়া ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে একলক্ষ বিংশতিসহস্র তুরগ সেনা সহ ধর্ম্মোৎসাহ-প্রমত্ত দুর্দ্ধর্ষ আফগানগণ প্রবল সাগর-তরঙ্গের ন্যায় ভারতবর্ষে আপতিত হইলেন। এই সময়ের হিন্দু সৈনিকগণ তেজস্বিতা ও সমর-নিপুণতায় নবাভ্যুদিত মোসলমানদিগের অপেক্ষা কোনও অংশে হীন ছিলেন না; কিন্তু তাহাদিগের মধ্যে আফগান জাতির নৈসর্গিক উগ্রতা, নবোদ্যম, ধর্ম্মোৎসাহ ও নবরাজ্য-জয়াশার কুহকিনী শক্তির সম্পূর্ণ অসদ্ভাব ছিল। তাঁহারা কেবল আত্ম-রক্ষিণী নীতির বশবর্ত্তী হইয়াই যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়া-