কার করিবার জন্য প্রতিনিধির বিশেষ ঔৎসুক্য ছিল। ১৭২০ খৃষ্টাব্দ হইতে মহারাষ্ট্র সেনানীগণ বহুবার নিজামকে আক্রমণ করিয়া কর্ণাট উদ্ধারের চেষ্টা করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাতে বিশেষ কোনও ফললাভ হয় নাই। পরিশেষে ১৭২৬ খৃষ্টাব্দে প্রতিনিধির পরামর্শক্রমে, সমস্ত সেনানীদিগের সমবেত ভাবে চারিদিক্ হইতে নিজামকে আক্রমণ করিবার প্রস্তাব স্থিরীকৃত হইল। তদনুসারে বাজী রাও মালববিজয়পূর্ব্বক প্রত্যাবৃত্ত হইলে প্রতিনিধি মহাশয়ের অনুরোধক্রমে মহারাজ শাহু তাহাকেও কর্ণাটক প্রদেশ-জয়ার্থ গমন করিতে আদেশ করিলেন। সেই সময় কর্ণাট-দেশে অভিযান করিবার উপযুক্ত অবসর বলিয়া বাজী রাওয়ের নিকট বিবেচিত না হওয়ায় তিনি স্বীয় অভিপ্রায় মহারাজ শাহুর গোচর করিয়াছিলেন। কিন্তু পরিশেষে প্রতিনিধির তুষ্টিসাধনোদ্দেশে তাঁহাকে সেই সময়েই যুদ্ধযাত্রা করিতে হইল। ফলে কর্ণাট হইতে চৌথ ও সরদেশমুখী সংক্রান্ত সমস্ত প্রাপ্য আদায় এবং ঐ প্রদেশের বহুল অংশের পুনরুদ্ধার সাধিত হইল বটে; কিন্তু সেখানকার অস্বাস্থ্যকর জলবায়ুর দোষে মহারাষ্ট্রীয় সৈনিক দিগের অনেকেই রোগে প্রাণত্যাগ করিল। (১৭২৬ খৃঃ অঃ)।




