বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাজী রাও - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চম অধ্যায়।

নিজাম-উল্-মুল্কের কুটিলতা—পালখেড়ের

যুদ্ধ—নিজামের পরাজয়।

র্ণাটের যুদ্ধব্যাপারের পর হইতে বাজী রাও নিজাম-উল্‌-মুল্কের প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া উঠিলেন। এতদিন দুই একটা সামান্য খণ্ডযুদ্ধে নিজামের কোন কোনও সেনানী বাজী রাওয়ের হস্তে পরাভূত হইলেওনিজামের লক্ষ্য। তিনি তৎপ্রতি ভ্রুক্ষেপ করেন নাই। কিন্তু কর্ণাটের যুদ্ধে বিশেষরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া তিনি মহারাষ্ট্রীয়দিগের প্রচণ্ড শক্তির প্রকৃত পরিচয় প্রাপ্ত হইলেন। সুতরাং তাঁহাদিগের অভ্যুদয়-নিবারণ তাঁহার পক্ষে একান্ত আবশ্যক হইয়া উঠিল। প্রকৃত পক্ষে মহারাষ্ট্রীয়েরাই এই সময়ে নিজাম-উল্-মুল্কের একমাত্র ভীতির স্থল ছিলেন। দিল্লীর দরবারে প্রাধান্য লাভ করা এতদিন নিজামের জীবনের প্রধান লক্ষ্য ছিল; কিন্তু এক্ষণে সে লক্ষ্য পরিবর্ত্তিত হইল। ১৭২২ খৃষ্টাব্দে তিনি দিল্লীতে গিয়া বাদ-