পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামুনের মেয়ে >8 তুমি যাও ন মা, আমি এখুনি যাচ্ছি। এই অস্থখ-শরীরে যা ইচ্ছে তুমি কর গে মা—ঙামাদের দু’জনের সঙ্গে বকতে বকতে আমার মাথা গরম হয়ে গেল ; সংসারে আীর অামার দরকার নেই—এইবার আমি শাশুন্ত্রীর কাছে গিয়ে কাশীবাস করব—ভা কিন্তু তোমাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি । এই বলিয়া জগদ্ধাত্রী ক্রোধভরে একটা পিতলের কলসী তুলিয়া লইয়া খিড়কীর পুকুরের দিকে দ্রুতপদে চলিয়া গেলেন । সন্ধ্য আনত-মুখে মুখ টিপিয়া একটু হাসিল, জননীর কোন কথার উত্তর দিল না। তাহার সেলাই প্রায় শেষ হুইয়াছিল, ছুচসূতা প্রভৃতি এখনকার মত একটা ছোট সাবানের বাক্সে গুছাইয়া রাখিয়া উঠিবার উপক্রম করিতেছিল, তাহার পিতার সোরগোলে চমকিয়া মুখ তুলিল। তিনি সদাই ব্যস্ত—এইমাত্র বাড়ী চুকিয়াছেন ; হতে একটা হোমিওপ্যাথি ঔষধের ছোট বাক্স এবং বগলে চাপ কয়েকখানা ডাক্তারি বই। মেয়েকে দেখিয়াই বলিয়া উঠিলেন, সন্ধ্যে ওঠত মা, চট্‌ করে আমার বড় ওষুধের বাক্সট একবার,—কি যে করি কিছুই ভেবে পাইনে—এমনি মুস্কিলের মধ্যে— সন্ধ্য। তাড়াতাড়ি উঠিয়া পিতার হাতের বাক্স ও বইগুল লইয়৷ একধারে রাখিয়া দিল । বারান্দায় ইতিপূর্বে যে মাছরখানি পাতিয়া রাখিয়াছিল, তাহারই উপর হাত ধরিয়া বসাইয়া দিয়া পাখার বাতাস করিতে করিতে বলিল, আজ কেন তোমার এত দেরী হ’লো বাবা ? দেরী ! আমার কি নাবার-খাবার ফুরসৎ আছে তোরা ভাবিস্ ? যে কুটির কাছে না যাবে। তারই রাগ, তারই অভিমান । প্রিয় মুখুয্যের হাতের একফোটা ওষুধ না পেলে যেন আর কেউ বাচবে । না। ভয় যে নেহাৎ মিথ্যে তা যদিও বলতে পারিনে, কিন্তু প্রিয় মুখুষ্যে ত একটাই-ফুটো ত নয় ! তাদের বলি–এই নন্দ মিত্তির