পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামুনের মেয়ে Sఆ আসবে! একদিনের বেশি যে কেউ আমার ওষুধ খেতে চায় না, সে কেন ? সে কেবল ওই নচ্ছার বোম্বেটে পাজী উল্লকের জন্তে । কি করেচে জানিস্ ? পঞ্চার ঠাকুর্দাকে যাই একf: রেমিডি সিলেক্ট করে দিয়ে এসেচি, অমনি ব্যাটা পিছনে পিছনে গিয়ে বলেচে, কই দেখি কি দিলে ? সন্ধ্যা ক্রুদ্ধস্বরে কহিল, তার পরে ? তাহার পিতা ততোধিক ক্রুদ্ধস্বরে বলিলেন, ব্যাটা বজাত, ঢক্‌ ঢক্‌ করে সমস্ত শিশিট খেয়ে ফেলে বলেচে, ছাই ওষুধ ! এই ত সমস্ত খেয়ে ফেললুম। কই, আমার ওষুধ সে খাক্ ত দেখি ! এই না বলে একশিশি ক্যাষ্টর অয়েল দিয়ে এসেচে ! তারা বলে, ঠাকুর, তোমার ওষুধ সে এক-চুমুকে খেরে ফেললে, তার ওষুধ তুমি খেতে পারে ত তোমার ওষুধ আমরা খাবে, নইলে না। সন্ধ্য ভয়ে ব্যাকুল হইয়া বলিল, সে ত তুমি খাওনি বাবা ? নাঃ-—ত কি আর খাই ! কিন্তু এতটা বেলা পৰ্য্যন্ত বাড়ী বাড়ী নে বেড়ালুম, একটা রুগী জোগাড় করতে পারলুম না। পরাণের নামে আমি নিশ্চয় কেস করব তোকে বললুম সন্ধে । ক্ষোভে অভিমানে সন্ধ্যার চোখে জল আসিতে চাহিল। এই পিতাটিকে সংসারে সর্বপ্রকার আঘাত, উপদ্রব, লাঞ্ছনা, উপহাসপরিহাস হইতে বাচাইবার জন্য সে যেন অহরহ তাহার দশ-হাত বাড়াইয়া আড়াল করিয়া রাখিত । সঙ্গলকণ্ঠে কহিল, কেন বাবা তুমি পরের জন্যে রোদে রোদে ঘুরে বেড়াবে! এই বাড়ীতেই যে কতজন তোমার ওষুধের জন্ত এসে এসে ফিরে গেল। কথাটার মধ্যে সত্যের কিছু অপলাপ ছিল। পল্লীর গরীবস্থঃখীব ঔষধ চাহিতে আসে বটে, কিন্তু সে সন্ধ্যার কাছে, তাহার %পিতার কাছে নয়। বাবার কাছেই সে ছোট-খাটো রোগের