পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰামুনের মেয়ে ૨8 আমি ত বলি যাবে না—কিন্তু পিও মুখুয্যে ছাড়া যে গায়ের কিছুটি হবার যে নেই, তাও ত দেখতে পাই। কোথায় কার রোগ হয়েচে, কোথায় কার— বক্তব্য সম্পূর্ণ করিতে না দিয়াই সন্ধ্যা চলিয়া গেল এবং তৎক্ষণাৎ শুক্ষবস্ত্র ও গামছা আনিয়া পিতার হাতে দিয়া কহিল, আর দেরি ক'রো না বাবা, ঠাকুর-পূজোটি সেরে ফেলে। আমি আসচি। এই বলিয়া সে তাহার ঘরে চলিয়া গেল এবং প্রিয়বাবুও মাথ৷ মুছিতে মুছিতে বোধ করি বা ঠাকুর-ঘরের উদ্দেশ্যেই প্রস্থান করিলেন । বলিতে বলিতে গেলেন—ইঃ—আবার যে পেটট কামড়াতে লাগল । পরাণের নামে—ইঃ-- যে গোলক চাটুয্যে মহাশয়ের নামে বাঘে ও গরুতে একত্রে একঘাটে জলপান করে বলিয়া সেদিন রাসমণি বারস্বার সন্ধ্যাকে ভয় প্রদর্শন করিয়াছিলেন, সেই হিন্দুকুলচূড়ামণি পরাক্রান্ত ব্যক্তিটি এইমাত্র তাহার বৈঠকখানায় আসিয়া বসিয়াছিলেন। র্তাহার পরিধানের পট্টবস্ত্র ও শিখাসংলগ্ন টাটক একটি করবী পুষ্প দেখিয়া মনে হয় অনতিবিলম্বেই তাহার সকালের অাহিক ও পূজা সারা হইয়াছে । বাহিরের লোকজন তখনও হাজির হইয়া উঠিতে পারে নাই, ভূত ছকায় নল করিয়া তামাক দিয়া গিয়াছিল, সুডৌল ভুড়িটি তাকি ঠেস দিয়া, অন্তমনস্ক-মুখে তাহাই পান করিবার আয়োজন করি