পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“NOS DuDK LL uBueuDuBBeDuD LLuLDDD যখন আমরা সেসন্স কোটে নিজ নিজ পাপের নিরীখা দিতে আসিলাম, তখন সত্য সত্যই জীবন্ত কবর হইতে উদ্ধার হইয়া, আলো বাতাসের দুনিয়ায় নূতন করিয়া নিশ্বাস লইলাম। কারণ প্ৰথম ধরা পড়িয়া চোয়াল্লিশ ডিগ্রিসাৎ হওয়া সে তবু ছিল এক রোমান্স, তাহাতে একটা আজগুবি নূতন কিছুর মজা দেখিবার টান ছিল, কথা বলিবার বিরুদ্ধে এমন কড়াকড়ি ছিল না, স্নানাহারে বাহির হইয়া দু’দশটা চেনা মুখ দেখিবার, মিল মিশা করিবার অধিকার ছিল, উপরওয়ালা জেলার হইতে সান্ত্রী পাহারা সবই ছিল স্বজাতি । বালির কোর্টে যাওয়া তাই এমন করিয়া চুড়ান্ত আনন্দের হাট হয় নাই। এবার নরেন গোসাইকে ইংরাজ বাহাদুরের জেলে ব্যাঙখোচানী করিয়া মারার ফলে আমাদের হইয়াছিল একেবারে বস্তাবন্দী দশা ; ইংরাজ জেলার, ইংরাজ ওয়ার্ডার, বন্দুক ধরা হাইল্যাণ্ডার পরিবেষ্টিত দশার পর, শাশুড়ী ননদ চাপ বধূর মত তটস্থ আমরা যখন বেথুন কলেজী পর্দানসীন গাড়ী বন্ধ হইয়া একত্র হইলাম, তখন গাড়ীর দুয়ার আটকাবামাত্র একখাচা মৃত হনুমানের হঠাৎ যুগপৎ জীবনলাভে কিচির মিচিরের মত সবাই একসঙ্গে মুখ খুলিল, কে যে কথা বলিতেছে, আর কে যে এ হট্টগোলের শ্রোতা, তাহা বুঝা গেল না । বালির কোট হইতে দায়রার ব্যবস্থা আয়োজনও অন্যরূপ। আদালতে ঢুকিয়া দেখিলাম, একটি তারের জালের খাচা প্ৰস্তুত হইয়াছে, তাহার মাঝে তিন চার সারি বেঞ্চি পাতা, তাহার মধ্যে