পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারীতেন্দ্রর আত্মকাহিনী ۰۰ در আমাদের ৩৬ জনকে ছাড়িয়া দিয়া প্রহরীরা দরজা বন্ধ করিল, বন্দুকধারী সাস্ত্রী ও পিস্তলধারী সার্জেন্টের দল রহিল বাহিরে। সামনে ব্যারিষ্টার ও শামলার ভিড়, তাহার ওপারে উচ্চাসনে বিচারক রক্তমুখ বীচক্ৰফটু আসীন। তঁহার একপাশে কাঠ-গড়া ও আর একপাশে छूछे জন আসেসারের আসন ; ইহার রাঙতার জুড়ি, রায় দিবার ছলনা করিতে পারেন, সত্যকার রায় দিয়া, জজের রায়ের উনিশ বিশ ঘটাইতে পারেন না । ৩৬টি আসামীকে রক্ষা করিবার লোভনীয় কাজটা ভাগ-বাটরা করিয়া লইয়া কয়েকজন ব্যারিষ্টার ও উকিলে কোমর বঁাধিয়া দাড়াইয়াছিলেন। অরবিন্দের পক্ষে ব্যোমকেশ চক্ৰবৰ্ত্তী ও কে এন চৌধুরী উকিল নীরোদচন্দ্র চ্যাটাজিকে বাহন বা সহযোগী করিয়া দণ্ডায়মান ; মোকদ্দমা। কিন্তু দু’পা হাঁটিতেই পট পরিবর্তন হইয়া উক্ত ব্যারিষ্টারদ্বয়ের স্থান গ্ৰহণ করিলেন দেশবন্ধু দাশ। বাকি বড় ও চুণাপুটিগুলির পক্ষে হইলেন ব্যারিষ্টারের মধ্যে পি মিত্ৰ, ই পি ঘোষ, এস রায়, জে এন রায়, আর সি ব্যানজি, আর এন রায় এবং শামলার মধ্যে বিজয়কৃষ্ণ বসু, শরৎচন্দ্ৰ সেন, নগেন্দ্রনাথ ব্যানাজি, তিনকড়ি ব্যানজি, বন্ধুবিহারী মল্লিক চৌধুরী, বিনোদবিহারী রায়, দ্বিজেন্দ্রনাথ মুখার্জি ও নরেন্দ্ৰনাথ বসু প্ৰমুখ উকিলগণ। সরকারী পক্ষে আমাদিগকে বুলাইবার চেষ্টায় রহিলেন ব্যারিষ্টার নর্টন ও বার্টন সাহেবদ্ধয় ও প্ৰাতঃস্মরণীয় শামলা বাবু আশুতোষ বিশ্বাস। এই দীর্ঘ বরষ মাস’ ব্যাপী বিচার বিভ্রাটে সর্বসাকুল্যে ২০৬ জন সাক্ষী কাঠগড়াস্থ হইয়াছিল, প্ৰায় ২০০ মাল মসলা ও চারি হাজার কাগজ পত্ৰ ঘাটিতে এবং এই ২০৬ জন সাক্ষীকে মন্থন করিতে গাউন ও শামলাদিগের ইস্তক জজ সাহেবের লাগিয়াছিল ২৩১ দিন, দুই পক্ষের ন্যায় মল্লাদিগের মাত্র ব্যক্তিমাবাজী ও বাহবাস্ফোটেই লইয়াছিল প্ৰায় 8० नििन । পূর্বেই বলিয়াছি এ আইনের পিত্তরক্ষারূপ কাৰ্য্যে aider and