পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S OR বারীদ্রের আত্মকাহিনী দেখিতেছিলেন আমরা দু’জনে “সখি আমায় ধর ধর’ বলিয়া পত্ৰ পাঠ যথারীতি মূৰ্ছা যাই কি না। উল্লাস তো মৃত্যুর পরোয়ানা পাইবা৷ Its GCGS frce stretë (feat ef71, “Thank you very much । বহুৎ ধন্যবাদ, সাহেব।” আমি কিছু বলিলাম না, কাজেই সাহেব এক রকম অপ্ৰস্তুত ও নিরাশ হইয়াই বাকি রায়টুকু পাঠে মনঃসংযোগ করিলেন । হেমন্দা বেচারীর উপর জজ সাহেবের বড় রাগ, কারণ সে কোন কথা স্বীকার করে নাই ; হেমচন্দ্ৰ, উপেন্দ্ৰ, বিভূতি, হৃষীকেশ, বীরেন সেন, সুধীর, ইন্দ্রনাথ, অবিনাশ ও শৈলেন্দ্ৰ, জজ সাহেবের রায়ে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরিত হইল এবং তাহদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সরকারে বাজেয়াপ্ত হইল। ইহার মধ্যে র্তাহার মতে কেবল বিভূতি যুদ্ধ করিয়াছে, আর বাকি কয়জন যুদ্ধের ষড়যন্ত্র করিয়াছে। ১২১এ ও ১২১ দফায় ইন্দুরাও যাবজীবেৎ কালাপানিসাৎ ও পার্থিব সম্পত্তি গ্ৰাস ঘটিল। বলা বাহুল্য এইসব ভবঘুরেদের সম্পত্তির মধ্যে ছিল পরিধানের কাপড় ও মাটির সানকি। সন্ন্যাসীর লোটা কম্বল থাকে, ইহাদের তাহাও ছিল না, সুতরাং জজ সাহেবের রায়ে সরকার বাহাদুরের বিশেষ ধন্যবৃদ্ধি ঘটে নাই, ইহা বলাই বাহুল্য। পরেশ, শিশির ও নিরাপদ কোন খুন খারাপীতে সংশ্লিষ্ট ছিল না। ৰলিয়া সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সহিত দশ বৎসর দেশান্তরের দণ্ড পাইল । বাকি কয়জন, বিশ বছরের কম বয়সের বলিয়া, নিম্নলিখিত হারে “দিও কিঞ্চিৎ, না কর বঞ্চিৎ” গোছের সাজা পাইল -অশোক, সুশীল ও বালকৃষ্ণ হরি কাণে সাত বৎসর আন্দামান এবং কৃষ্ণজীবন সান্ন্যাল এক বৎসর সশ্রম কারাবাস । এই হইল জজ সাহেবের রায় । তাহার পর মোকদ্দমা গড়াইতে গড়াইতে গেল হাইকোর্টে, আর আমরা গেলাম শ্ৰীঘরে । সাত মাস পর রায় বাহির হইল কিছু উনিশ বিশ হইয়া, ফলে আমি ও উল্লাস দা’ প্ৰাণে বঁচিয়া গেলাম ।