বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sned ਏ ਕੁ ਸ5 আমি দ্বীপান্তর হইতে ফিরিবার কয়েক মাস পর। প্ৰথমবার পণ্ডিচারী গিয়াছিলাম মাত্র ৬ দিনের জন্য। সেবার কিছু বুঝি নাই, কারণ তখন কাজ আমায় আবার পাইয়া বসিয়াছে। দ্বিতীয়বার গিয়াছিলাম তিন চার মাসের জন্য, সেইবার নূতন সাধনার আস্বাদ পাইলাম, সাধনার গতি, ধারা, ছন্দ আমার পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গেল । কারণ এ সাধনায় সাধ্য নাই, সাধনা নাই, হিসাব নাই, পদ্ধতি নাই ; আছে শুধু শান্ত নীরবতা, অনন্ত বিশ্বাস আর উদ্ধমুখে আপনাকে মেলিয়া অপেক্ষা । এ সাধনের সাধক মানুষ নয়, মানুষের আধারে ভগবানের শক্তি ; মানুষ যদি সমর্পণে চুপ করে আর প্রাণ মন চিত্ত ভরিয়া সায় দেয়, তাহা হইলে সে শক্তি জ্যোতির তরঙ্গে, শান্তির জোয়ারে, জ্ঞানের ছন্দে নামিয়া সব আপনি করিয়া লয় । তাহার পর সব চেয়ে বড় কথা, এ সাধনা জীবনের সাধনা, পরমে আর ঐহিকে এক সোণার সেতু; খণ্ড মানুষকে ধীরে ধীরে বৃহতে তুলিয়া ভগবানের আনন্দে সমাসীন করিয়া তার ঐশ্বৰ্য্যে পূর্ণ করা, মানুষকে দেবতা <f: ?Tyl-to divinise man তোমরা বলিবে দেবতা হইয়া লাভ কি ? আমি বলিব খণ্ড থাকিয়া লাভ কি, আপনার স্বরূপ হারাইয়া নিজের পূর্ণ মহিমায় বঞ্চিত রহিয়া লাভ কি ? ইহজগতে জ্ঞান আমাদের অন্বেষণের ধন, আনন্দ আমাদের কাম্য, শক্তি আমাদের জীবনামৃত ; তবে তা অজস্র অসীম পূর্ণ করিয়া পাইব না কেন ? কেন ক্ষুদ্র থাকিব, কেন আমার রাজ レア