পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

LSLSLSGSLGLSLL GLSGLGSGSLSLSLSSLLLLLL LLLGLSSMLSL LGLL GLLLLLLSGLLLLLLSGGGL SGGLGLLGLLLLLLLSLSLSSLLLLS SLLGGSLLSGLLSLSSSSL Nessets কেমন যেন একটা চির অতৃপ্ত ক্ষুধা লইয়া, কি অপ্ৰাপ্য ধন পাইবার আশায় আমি জন্মিয়াছিলাম, তাই কোন কাজই করিয়া আমার মনপ্ৰাণ কখনও ভরিল না । দেশ যখন মনের সুখে তামস নিদ্ৰায় ঘুমাইতেছিল, তখন আর দু’চারটি অসমসাহসিক মানুষের সঙ্গে আমিও রাজনীতিক হিসাবে এ বাঙলায় প্ৰথম জাগিয়াছিলাম । জাগিয়া সে দুরাকাজক্ষার জাগ্ৰত-স্বপ্নে দেশ-মায়ের যে মুক্তা রাজরাণীর ছবি তখন দেখিয়াছিলাম, সারা ভারতের তাহাই আজ আরাধ্য দেবতা হইয়াছে। তবু তখন আমরাই, মুষ্টিমেয় কয়জন দুঃসাধ্যসাধক মানুষ, ভাবের রঙে, কল্পনার তুলিতে, হৃদয়ে হৃদয়ে সে ছবি আকিতেছিলাম । নিজের জীবন অবধি পণ করিয়া, কত না অসাধ্য সাধনে এক রকম বিনা পাথেয়, বিনা সম্বলেই আমাদের এ পথে সে অভিসার। একটি একটি করিয়া বাছিয়া বাছিয়া নিঃস্বাৰ্থ মুক্ত নিৰ্ভয় প্ৰাণ একত্ৰ করিয়া কৰ্ম্মীদল গঠন ছিল প্ৰধান কাজ ; কিন্তু এত করিয়াও মনপ্ৰাণ আমার ভরে নাই । ১৯০২ সালে আমাদের প্রথম ষড়যন্ত্রের বীজ বপন, বলিতে গেলে এক রকম তাহার ফলেই ১৯০৬ সালে, স্বদেশীর দেশব্যাপী প্লাবনেও আমাদের কৰ্ম্মের যে একাগ্ৰ যোগ ভাঙিয়াও ভাঙিতে পারে নাই, অন্তরের “অপাওয়া পাওয়া”র ক্ষুধাই তাহাকে একদিন টলাইয়া দিল । আমাদের ক্রমশঃ ধারণা হইল যে, ভাগবত জ্ঞানে ও শক্তিতে বলীয়ান না হইলে, দীন মানুষকে দিয়া এ আয়োজন—এ যজ্ঞ কখনও পূর্ণ হইবে না। আমি তাই মানুষকে