পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

冷夺-可f5 VO কাজের কাজী “ভবানী মন্দির” বলিয়া একখানি পুস্তিকা লেখেন। তাহার মৰ্ম্ম এই যে, নিভৃত পৰ্ব্বত গুহায় ভবানীর মন্দির হইবে, সেই-- খানে সাধনায় সিদ্ধ শক্তিমান আধারে ভগবতী বিগ্ৰহ ধরিয়া দেশকে মুক্তিযজ্ঞে দীক্ষা দিবেন। আমাদের পাগল করিবার যেটুকু বাকি ছিল, তাহা এই “ভবানী মন্দির” করিয়া ছাড়িল । বইখানির লেখা যেমন অপূর্ব শক্তিব্যঞ্জক, বিষয়ও তেমনি মনপ্ৰাণ-ভরা, তাই সেই অবধি এই নেশায় আমাদের পাইয়া বসিল । ভগবানের পথ বড় সহজ ; দুর্লভ হইয়াও, কঠিন হইয়াও, ক্ষুরের ধারের অধিক সুতীক্ষ্ম হইয়াও বুঝি সহজ। মানুষ কিন্তু সহস্র বাসনার ফেরে, সে সহজ পথকে দীর্ঘ ও জটিল করিয়া রাখিয়াছে। সে পরম সহজ। ধনকে সহজে পাইয়া বুঝি অতি ছেলেবেলায়ও কাহারও সুখ হয় না । তাই সে পথ চাহিয়াও তখন পাই নাই, তাই চাহিতে চাহিতেই জীবনে কত গলি ঘুজি ঘুৱ-পথ ঘুরিতে হইল, জ্বলন্ত আগুনে প্ৰবেশ্য করিয়া সে চাওয়ার কতই না পরীক্ষা দিতে হইল । বরোদায় থাকিতে শুনিয়াছিলাম, নৰ্ম্মাদার তীরে চান্দোতে ব্ৰহ্মানন্দ নামে এক সিদ্ধ যোগী আছেন। আমি যখন সাধু খুজিতে বাহির হইলাম, তখন ব্ৰহ্মানন্দের দেহান্ত ঘটিয়াছে, তঁাহার শিষ্য কেশবানন্দ তখন সে মঠের মঠাধিকারী। আমি কেশবানন্দের উদ্দেশেই বাহির হইয়াছিলাম। সঙ্গের সাথী ছিল উপেন । ট্রেণে চড়িয়া সেই দীর্ঘ অনিৰ্দেশ যাত্রার মুক্তির আস্বাদ আজও বেশ মনে আছে। মনে হইল আজ আমাদের সম্মুখে অজানা অফুরন্ত জীবন-পথ, আর পশ্চাতে অতীত ; যেন কতবড় গুরুভার দেবকীর পাষাণ বুকের উপর হইতে জন্মের শোধ নামাইয়া মুক্তির সুখে ছুটি লইয়া চলিয়াছি। তখন জানিতাম না-সেই যাত্ৰাই আমার সত্য সত্যই মুক্তির যাত্রা, তখন বুঝি নাই সেই দিনই আমার জীবনের চাকা আমন করিয়া ঘুরিয়া যাইবে । ব্ৰহ্মানন্দের আশ্রমে গিয়া কিন্তু বড় নিরাশ হইতে হইল। সাধু