পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

५४-व्डठ ( আজ আসিয়া জানাইয়া গেলেন যে, এখানে তাহার চাকুরী করা পোষাইবে না । সে তো বলাই বাহুল্য ; মানুষের / মধ্যে কিছু বস্তু থাকিতে তো এখানে পোষাইবার কথা নয়। তখন দেশের কাজ আমার শিখা ধরিয়া মৰ্ম্মান্তিক টান টানিতেছে। নৰ্ম্মাদার উপর এ নির্জন মঠ আমার সহিবে কেন ? চারি দিকে উঁচু নীচু ঢিপি, রজতগুত্ৰ নিৰ্ম্মাদার কাশঢাকা তট, মাঠের মাঝে দলে দলে বন্য হরিণ। আর তরী-ভরা যাত্রীর কণ্ঠে ঘন ঘন “জয় নৰ্ম্মদে” ধ্বনি। অশান্তের কি এত শান্তি সহ্যু হয় ? দুই একদিন থাকিয়া আমি এক মাইল দূরে চান্দোত গ্রামে আসিলাম, সেইখানে রেল ষ্টেশন। সেই রেলপথে কোন এক ষ্টেশনে আমার ব্ৰাহ্মণ বন্ধু গায়কোয়াড়ের নায়েবসুবার কাজ করে। ট্রেণে করিয়া তার বাসায় আসিয়া পহুছিতে বেলা দুপুর বাজিল, তখন সে পেটের দায়ে কোটে নর্থীপত্ৰ ঘাটিতেছে। ঘরে ঢুকিয়া দেখি সেই বেঁটে গৌরাঙ্গ পুরুষটি একখানি চেয়ারে সমাসীন। পরস্পর বিস্ময়সূচক কুশল প্রশ্ন হইয়া চুকিবার পর তিনি আমায় প্রশ্ন করিলেন, “এ অঞ্চলে তুমি বাঙলার মানুষ কি করছে ?” আমি । গুরু খুঁজছি। পু। কেন ? আমি । আমি কোন কঠিন ব্ৰত উদযাপনের ভার নিয়েছি, ভগবানের কৃপা বিনা সে ব্ৰত উদযাপন হবে না বলে ধারণা হয়েছে। পু। আমি সবই জানি। তিনি আমাদের গুপ্ত সমিতির নাড়ী-নক্ষত্ৰ সব বলিয়া দিলেন । শুনিলাম। তিনিও একদিন এই সমিতির মহারাষ্ট্ৰীয় শাখায় ছিলেন, এখন তাহা ত্যাগ করিয়াছেন। তিনি হঠাৎ বলিয়া উঠিলেন, “গুরু খুজিছ ? এসে আমার কাছে সাধন নাও।” আমি তো অবাক । এ আবার কি রকম বুজরুক রে, বাবা। নিজে যাচিয়া মন্ত্র দিতে চায় ৷ আমি প্রশ্ন করিলাম, “আপনি ভগবানের পথ জানেন কি ?”