পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rests easaes-atlass 2tter আমি যে সুরাটে কংগ্রেস দেখিতে যাইব ইহা এক অচিন্ত্যপূর্ব ব্যাপার। কারণ আমাদের গুপ্তসমিতির অনেক নিয়মের একটি প্রধান, নিয়ম এই ছিল যে, কোন কৰ্ম্মী কোন রাজনীতিক ব্যাপারে বা প্ৰকাশ্য সভা সমিতির বাগবিতণ্ডায় কদাচ যোগদান করিবে না। যত কম মানুষ তাহদের চেনে, যতই তাহারা লোকচক্ষুর অগোচরে চলে ফিরে, ততই এ কাজের সুবিধা । এই জন্য অত বড় স্বদেশী আন্দোলনের হাজার হাজার সভা সমিতির কোনটিতেই আমাদের কেহ যায় নাই, এমন কি দাগী হইবার-পুলিশের নজরে পড়িবার সম্ভাবনা এড়াইতে আমরা-যত বিপ্লবপন্থীরা।--বিদেশী জিনিসই বরং ব্যবহার করিতাম । অসির মুখে যে দেশ হারাইয়াছি তাহা অসি-হস্তেই জয় করিতে হইবে, এই ধারণার বশবৰ্ত্তী হইয়া আমরা স্বদেশী আন্দোলনকে বৈশ্যের আন্দোলন বলিয়া উপহাস করিতাম । কোন রকম বক্তৃতা বা উত্তেজনা ছিল এই সমাপিত-জীবন নীরব-কৰ্ম্মীদের দুই চক্ষের বিষ । তবু সুরাটে কংগ্রেস দেখিতে গেলাম কেন ? আমি যে সুরাটে যাইব তাহা আমি সেদিন সকাল অবধি জানিতাম না । হঠাৎ কে যেন আসিয়া বলিল, “তোমার টিকেট কেনা হইয়াছে, তুমি য়্যান্টি-স্যাকুলার সোসাইটির ডেলিগেট ।” শুনিবা মাত্র আমি একটি ক্যানভাস ব্যাগে আমার তল্পিতল্পা অর্থাৎ খানকতক ধুতি ও পিরাণ লইয়া যাত্ৰা করিলাম। কারণ অনেক দিন হইতে মাথার মধ্যে একটা সংকল্প গজাইয়াছিল যে, সমস্ত ভারতের যত