পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরাটে দক্ষযজ্ঞ-নাশের পালা S. মন্দিরে, সে ঘরে তঁাহার আশে পাশে এমন কি ক্যাম্প খাটের নীচে অবধি মানুষ শুইয়া থাকে। তিলকের স্থান আর একটি মন্দিরে, সেখানে তিলক ও অরবিন্দ বসিয়া আপনাদের কাজ কৰ্ম্ম করেন। আর সহস্ৰ সহস্ৰ জনস্রোত সকাল হইতে রাত একটা অবধি, এক সিড়ি বাহিয়া উঠিয়া শুধু দৰ্শন করিয়া অপর সিড়ি দিয়া নামিয়া যায়। মডারেট লিডারদের পাইতে হইলে কত সুপারিশ ধরিয়া কার্ডবাজী করিয়া দেখা করিতে হয়, এখানে অবারিত দ্বার ; একদিন আহারে বসিতে গিয়া দেখিলাম, তিলকের পাশে এক পঙক্তিতে বসিয়াছেন চিদম্বরম দিলে, হায়দর রেজা, অরবিন্দ আরও কত কে । ভারতের এমন প্ৰদেশ নাই যেখানকার হিন্দু-মুসলমান সে পঙক্তিতে নাই। অরবিন্দ, তিলক, খাপার্দে, মুজে প্ৰভৃতি নেতাদের ভিতরে ভিতরে কি পরামর্শ হইত। আমি জানিতাম না, কারণ আমি থাকিতাম আপনার তালে। তখন সর্দার অজিত সিং, সুফি অম্বা প্ৰসাদ প্ৰভৃতির খুব নাম, কারণ র্তাহারা সবে দেশান্তরী দশা হইতে লালা লাজপৎ রায়ের সহিত মুক্তি পাইয়াছেন। আমি অজিত সিংএর সহিত নিজে গিয়া পরিচিত হইলাম, বহু অন্বেষণে দুই তিন জন মহারাষ্ট্র বিপ্লবনেতার সন্ধান পাইলাম । তাহারা নিরীহ ডেলিগেট সাজিয়া কংগ্ৰেসে তামাসা দেখিতে আসিয়াছেন। আমাদের গুপ্তচক্র বসাইবার সব বন্দোবস্তই করিয়া তুলিলাম। বরিশালনেতা শ্ৰদ্ধেয় অশ্বিনীবাবুর সহিত প্রায়ই দেখা হইত, তিনি জানিতেন না। আমি কি বিষম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছি । বাল্যকালে দেওঘরে আলাপ হওয়ার পর হইতে তিনি আমায় বড় স্নেহ করিতেন । মাদ্রাজের দুই একজন গুপ্তচক্রের নেতাও সেবার এই কঙ্গরসী ব্যাপারে সুরাটে জুটিয়াছিলেন।