পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S প্ৰথম দফা ভুভেচ্ছন্ন কীত্তন প্ৰথম দিন গণ্ডগোল আরম্ভ হইল সুরেন্দ্রনাথকে লইয়া। মেদিনীপুরে বাঙলার প্রাদেশিক কনফারেন্সে সুরেন্দ্রনাথকে উপলক্ষ্য করিয়াই DD DuDBS gEBBD DBD SDBDDD S uBuBDBDD DDBBDB নির্বাচন সম্বন্ধে বক্তৃতা দিতে উঠিব। মাত্র “শেম শেম, দেশদ্রোহী” ইত্যাকার রব উঠিল, তাহার বক্তৃতা কেহ শুনিবে না, তাহাকে অপদস্থ করিয়া বসাইয়া দিতে হইবে, এই হইল গো । বঙ্গের এত দিনের রাজনীতিক দুলাল, অসপত্ন্য-নেতা সুরেন্দ্ৰনাথ কখনও লোকমতের কাছে মাথা নীচু করিতে শিখেন নাই, তামস অন্ধ দেশের তিনি ছিলেন রাখাল রাজ্য, এতদিন লাঠি হাতেই গরু চরাইয়াছেন। আজ দেশ গোজিন্ম ঘুচাইয়া মানুষ হইতেছে, আজ সুরেন্দ্রের উপর গরম দত্রের অন্ধরাগ। কংগ্রেস মণ্ডপ ভরিয়া মুহুমুহু শৃগাল ধ্বনির জ্বালায় সুরেন্দ্ৰনাথ তো বক্তৃতা দিতে পাইলেনই না, উপরন্তু কংগ্রেস ভাঙিয়া গেল। সুরেন্দ্ৰনাথ সমস্ত বাঙলার প্রতিনিধিদিগকে তঁাহার বাটিতে ডাকিয়া পাঠাইলেন, উদ্দেশ্য এই যে, সেইখানে বুঝাইয়া পড়াইয়া বাঙলাকে একমত করিতে পারিলে অন্যান্য প্ৰদেশ বাঙলার রায় মানিয়া লইবে । সে এক অদ্ভুত মিলন। সবাই সেখানে উন্মনা, উদভ্ৰান্ত, ব্যস্তসমস্ত ; সবারই যেন একটা কি হারাইয়া গিয়াছে, যেন বেশ লয় তালে বঁাধা সঙ্গতে কোথায় হঠাৎ চড়াং করিয়া তার ছিাড়িয়াছে, সকলের স্বস্তি আরাম ভাঙিয়া আসর মাটি করিয়া দিয়াছে। সেখানে সুরেন্দ্ৰ