○ त्रिचण्ड>ीन्ञ्च त्रेि<बन्न्ज्ञ ऋङन्ता এদিকে আমাদের চক্রের আয়োজন হইতেছে আর ওদিকে কংগ্রেসের মহাতাণ্ডব আরম্ভ হইয়াছে। দ্বিতীয় দিন কংগ্রেস বসিবামাত্র শ্ৰীযুক্ত রাসবিহারী ঘোষকে সভাপতি নির্বাচন করা লইয়া গণ্ডগোল আরম্ভ হইল। অরবিন্দকে ঘিরিয়া বাঙলার দশ বারজন যুবক আমরা বঙ্গদেশের নির্দিষ্ট ব্লকের আসনে বসিয়াছিলাম। আশে পাশে আরও অনেক বাঙালী, কেহ বা মডারেট, কেহ বা গরম দলের, চ্যানাচুর ঘুঘনিদানার মত সবাই পাচমিশেলী ভাবেই বস হইয়াছে। পিছনে কাতারে কাতারে মহারাষ্ট্র ডেলিগেট, সবার হাতে ছোট ছোট লাঠি। সামনে সভাপতির বেদী, তাহাতে সুরেন্দ্ৰনাথ, রাসবিহারী, মোটা, গোখলে, তিলক প্ৰভৃতি সমাসীন। চুনোপুটির মধ্যে সেখানে বেদীতে অধিকাংশই পাশী *। আমরা দেখিলাম তিলক কি বলিতে উঠিলেন, কিন্তু কেহ কিছু শুনিলেন না ; তিলককে উপেক্ষা করিয়া আপন কাজ করিয়া যাইতে লাগিলেন। সেই দিন সকালে বা পূর্বদিন রাত্রে তিলক সভাপতি নির্বাচনের প্রস্তাব সংশোধন করিবার নোটিশ দিয়াছিলেন। মডারেট কৰ্ম্মকৰ্ত্তার দল তাহ পাইয়াও প্ৰাপ্তি স্বীকার করেন নাই বা উত্তর দেন নাই, আজ, বলিলেন, “নোটিশ দেওয়া হয় নাই, তোমার কথা শুনিব না।” একজন উঠিয়া শ্ৰীযুত রাসবিহারীকে সভাপতি করিবার প্রস্তাব করিলেন, অমনি গরমদলের আটশ” ডেলিগেট সমস্বরে চীৎকার করিয়া উঠিলেন, “তিলকের কথা শোন, আগে তিলকের কথা শোন।” পূর্বের কোন কংগ্রেসেই। এত
পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৩৪
অবয়ব