পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন ধরা পড়িলাম ? অনাহারে অনিদ্রায় হাড়ভাঙা পরিশ্রমে অত কাজ করিয়া আবার বার বৎসর দ্বীপান্তর-বাস-সুখও সহিয়া আসিলাম, আর তিনি আজ সহরের একজন খ্যাতনামা ধনী, গায়ে তাহার আঁচড়টি অবধি লাগে নাই। তখন এই ছিল আমাদের দেশ, র্যাহাদের আশ্রয় করিয়া আমরা সেকালে বোমার যুগের বিলাতী-গুপ্ত-কথা আরম্ভ করি। উপেন তাই তাহার নির্বাসিতের আত্মকথায় সত্য কথাই লিখিয়াছে,- “সুদূর আদর্শের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া নীরবে সমস্ত লজ্জা, অপমান, নিৰ্য্যাতন সহ করা যে কত কঠোর সাধনাসাপেক্ষ তাহা ভুক্তভোগী ভিন্ন কেহ বুঝিবে না। দেশের সে শিক্ষা তখনও হয় নাই ; এখনও হইয়াছে কি ?” বহুকালের অধীনতার ফলে, জাতীয় জীবনের দায়িত্বহীনতার ফলে ও পরনির্ভরতা এবং পরানুকরণ প্রসাদাৎ এ জাতি আজ যে কতদূর শক্তিহীন তাহা গঠনের দিন ভাল করিয়া বুঝা যাইবে । যে দুর্বল ও ভীরু, মনের বল যাহার নাই, তাহাকে দিয়া লড়াই করাইতে হইলে মদ খাওয়াইয়া নেশায় রাখিতে হয় । যতক্ষণ নেশা ততক্ষণ সে বীর, তাহার পর নেশা, কাটিয়া গেলে তাহার। আর পদার্থ থাকে না । এ জাতিরও তাহাই বৰ্ত্তমান দশা, তাই দেশের কাজে এত ইমোশান উত্তেজনার মদ দরকার হয় ; এক বছরে স্বরাজ পাইবে এ আশা না দিলে কম মানুষই তাই কাজে হাত দিতে চায়। ভাগ্যে ইংরাজের গুতাটা গাতাটা ছিল আর বাঙ্গালীর কীৰ্ত্তনে নাচা ভাবুক প্রাণ ও হৃদয়টা ছিল, নহিলে এ দেশের যে কি দুৰ্দশা হইত, তাহা বলা দুষ্কর। তখন বিপ্লবপন্থী লীডারও গরম গরম বোমাবাজী না দেখিতে পাইলে সহজে টাকার থলিতে হাত দিতেন না, তঁাহাদের সখের পলিটিক্যাল ७७ादाऊँौन अभिद्रा श्लिाभ डाgाएँ २७।। কিছুদিন পিছু পিছু ঘোরাঘুরি করিবার পর আমাদের অবিনাশকে রন্ধ করিয়া ভিতরে শনি ঢুকিবার একটা বড় রকমের চেষ্টা হইয়া গেল। এই শনির নাম রজনীকান্ত, বাড়ী বৰ্দ্ধমান জেলার কোন একটি