পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܒܪܓܪ CNCF জেলের সদর ফটক পার হইয়া আমরা সাস্ত্রী সিপাহীর বেড়াজালে জেলে ঢুকিলাম। জেলার বাবু, নায়েব জেলার বাবু, তস্য নায়েব বাবু, বড় হাবিলদার, মেজ হাবিলদার, ছোট হাবিলদার, কাল পাগড়ী, মেট, কত কত চিত্র বিচিত্র জীবসন্ধুল নবাবী অন্তঃপুরে ভ্যাবাচেকা লাগিয়া, আমরা গেলাম যেখানে, সেটা চোয়াল্লিশ-ডিগ্রি,-অর্থাৎ জেলের মধ্যে আবার আলাদা পাচিল ঘেরা খোয়াড়ে সারি সারি চুয়াল্লিশটি কুঠরী বা cell, তাই এখাস মহলের নাম চোয়াল্লিশ-ডিগ্রি। ম্যালেরিয়া জ্বর হইলে তাপ ওঠে, ছিয়ানব্বই ডিগ্রি হইতে একশ” পাচ অবধি, আর সেকালে দেশভক্তি ও রাজদ্রোহ একসঙ্গে করিলে, নসীবের তাপ উঠিত চোয়াল্লিশ ডিগ্রি অবধি। এইখান হইতে রোগী হয় পুত্র, নয় কন্যা, নয় গর্ভপাত গোছের, নয়। ঘানী, নয় কালাপানি, আর নয় ফাসী কাঠ প্ৰাপ্ত হইয়া ইহলীলা সম্বরণ করিত ; কারণ সেকালের জেলা খাটিয়া বঁচিয়া ফেরা ভদ্রলোকের কাজ আদৌ ছিল না। যদি বল “তোমরা কি করিয়া ফিরিলে ?” তাহা হইলে লাজ-লজার মাথা খাইয়া অগত্যা বলিতে হয়, অভদ্রতা ত দুরের কথা, পশুবৃত্তি পৰ্যন্ত করিয়া, জীয়ন্তে শতামরা মরিয়া, এক রকম ভূত হইয়াই বাহির হইয়াছি। জেলার বাবু সেই অত রাত্রে জেলের পাকশালা হইতে ভাত আর অড়রের ডাল আনাইয়া দিলেন, লোহার থালে লোহার বাটিতে তাহা পরম অমৃত বোধে খাইলাম, কারণ ক্ষুধার মুখে গো-ভোগ্যও যে