পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€Ve বারীতেন্দ্রর আত্মকাহিনী ইমার্সিন সাহেবের সাপে ছুচে গেলা হইল। প্ৰথমতঃ ব্ৰাহ্মণ স্বপাক ছাড়া খাইবেন না, তাহার উপর গঙ্গাজল ছাড়া স্পর্শ করিবেন না । আমরা ভাবিলাম, কলির জেলে গৌরাঙ্গী জেল কোড চাপা পড়িয়া বুঝি ব্ৰাহ্মণ আহার জল বিনা মারা যায়। কিন্তু ইমার্সন সাহেব একে নির্বিবরোধী মানুষ, তায় ব্ৰাহ্মণ ঠাকুর কয়েদী নন, বিচারাধীন মাত্র । কাজেই অনেকবার আফিসে ডাকাইয়া, অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া সাহেব ব্যবস্থা করিলেন, তর্করত্ন মহাশয়ের স্বপাকই চলুক, কিন্তু ব্ৰাহ্মণ আবার জেলের পাকশালায় তাহাদের তৈজস পত্রে রাধিবেন না, অগত্য তঁাহার জন্য জেলের পুকুর পাড়ের গাছতলায় অস্থাবর পাকশালার ব্যবস্থা হইল, অর্থাৎ খান দুই ইটের চুলো আর পিতলা বোগানো । গঙ্গাজল কিন্তু সাহেব কিছুতেই পাশ করিবেন না, তাহা যে ফিল্টার করা নয়, তাহাতে যদি কলেরা বা প্লেগের মাইক্রোব থাকে ? শেষে ব্ৰাহ্মণ ছাতি ফাটিয়া তৃষ্ণায় মরিবে তবু অন্য জল ছুইবে না দেখিয়া, সাহেব এটাও মুখ বিকৃত করিয়া গিলিলেন, তর্করত্ন মহাশয়ের একজন জানিত ব্ৰাহ্মণ এক কলসী জল নিত্য দিয়া যাইতে লাগিল । সৌভাগ্যক্রমে কয়েকদিন রাখিয়া প্ৰমাণাভাবে তেঁাহাকে অব্যাহতি দেওয়া হইল, নহিলে আলিপুর জেলে সে যাত্ৰা নিশ্চিত একটা ব্ৰাহ্মণবধ ঘটিত ।