পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোকদ্দমার তদন্ত ዓቕs বলিয়াছি চোরাই মাল অর্থাৎ দুই বাক্স সাপ বিছা রাখার দরুণ দুই কবিরাজ ভ্ৰাতা গ্রেপ্তার হন, সে প্ৰাতঃস্মরণীয় বাড়ীটির নম্বর ১৩৪ হ্যারিসন রোড। নগেন্দ্ৰনাথ গুপ্ত ও তস্য ভ্ৰাতা ধরণীনাথ গুপ্তের আদিম নিবাস মুন্সিগঞ্জ। তঁহাদের দু'জনের সঙ্গে আরও তিনজনের কপাল সেই রাত্রে ঐ বাড়ীতেই পোড়ে, কালিগঞ্জের অশোকচন্দ্ৰ নন্দী, বৰ্দ্ধমানের বিজয় রত্ন সেনগুপ্ত ও নড়াইলের মতিলাল রায় । বার্লি সাহেবের দয়ায় নিরপরাধ বিজয় ও মতি অব্যাহতি পান বটে। কিন্তু অশোক, নগেন, ধরণী ও উল্লাস আমাদের নরক গুলজার করিতে শেষ অবধি থাকিয়া যায় । এ ছাড়া ৩০ ২। হ্যারিসন রোড, ১১নং হ্যারিসন রোড, ২৩নং স্কটস লেন ও উল্লাসকরের পিতা শ্ৰীদ্বিজদাস দত্তের শিবপুরন্থ বাসায়ও পুলিশ হানা দিয়াছিল। প্ৰথম বাড়িটি ছিল আমাদের চিঠিপত্ৰ আসিবার গোপন ঠিকানা, এখানে সেই তারিখের কয়েকখানি চিঠি ধরা পড়ে । ১১নং হ্যারিসন রোডে অবিনাশ যুগান্তর পুস্তকালয় খুলিয়া সেখান হইতে “বৰ্ত্তমান রণনীতি”, “মুক্তি কোন পথে”, ইত্যাদি বই বিক্রয় করিত বটে। কিন্তু পুলিশের শ্ৰীচরণের পুণ্যরজঃ পড়িবার ২/৩ দিন আগেই এখানকার পাখী নীড় পরিবাৰ্ত্তন করিয়াছিল, সুতরাং এখানে সজীব নিজীবি কিছুই ধরিবার মত পাওয়া যায় নাই ।। ২৩নং স্কটস লেনে পূর্বে অরবিন্দ থাকিতেন, সেখানেও পুলিশের সুতরাং নিস্ফল যাত্ৰা । উল্লাসকরের পিতা তাহার পুত্রের অনুষ্ঠিত কুকৰ্ম্মের কোন সন্ধানই রাখিতেন না, উল্লাসও তাহার পিতৃভবনের সহিত সম্পর্ক একরকম চুকাইয়াই বাগানে আসিয়াছিল। অগত্যা সেখানেও মোক কুলকিনারা মিলিবার মত কিছুই পাওয়া গেল না। *ւէ আমাদের কাছে যে সব চিঠি পত্র কাগজাদি পাওয়া গিয়াছিল তাহার দরুণ এবং পরবত্তী অনুসন্ধানের ফলে পরে ক্রমশঃ ধরা পড়ে শ্ৰীরামপুরের হৃষীকেশ কাঞ্জিলাল, খুলনার সুধীরকুমার সরকার, সাগরদাড়ি যশোহরের বীরেন্দ্ৰনাথ ঘোষ, মালদহের কৃষ্ণজীবন সান্ন্যাল,