পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Snud SSLDLDY LqL DBuuiSu0LLDD LDuBDDK আমি যাহা ভাবি নাই, ঘটিল। তাহাই । এই অসন্তুষ্ট দলের কয়েকজন গোপনে পরামর্শ করিয়া সব স্থির করিল। আমাকে জানানো হইল না, কারণ তাহারা ধ্রুব জানিত, আমি জানিলে বাধা দিব, জেলের ভিতর এ কাণ্ড কিছুতেই করিতে দিব না। পূর্বেই বলিয়াছি খাইবার লোভে ছেলেরা প্ৰায়ই হাসপাতালে যাইত । আমার মামা সত্যেন্দ্ৰ হেঁপানী রুগী বলিয়া হাসপাতালে পাকাপাকিই এক রকম থাকিয়া গিয়াছিল। সত্যেন্দ্ৰ আমার দাদাবাবু রাজনারায়ণ বসুর কনিষ্ঠ সহোদর অভয় বাবুর সেজ ছেলে ; সে আমাদের মেদিনীপুর শাখার কর্ণধার ছিল। এই পরিবারে হাঁপানী বংশগত ব্যাধি, সত্যেনের এক বোনের আছে, তার কন্যার আছে, সত্যেনেরও ছিল। মাঝে মাঝে শ্বাস উঠিয়া সে বড় কষ্ট পাইত, যখন ভাল থাকিত, তখন রোগ ছিপছিপে সত্যেন কিন্তু সবার অধিক খাটিত । মেদিনীপুরে বাঙলার প্রাদেশিক কনফারেন্সেই প্ৰথম নরম ও গরম দলের বিরোধের সূত্রপাত হয় ; সমস্ত জেলায়খাটিয়া প্রতিনিধি জড় করা ও ভলান্টিয়ার দল সাজানোয় সত্যেনের অনেকখানি হাত ছিল । সে তলে তলে আমাদের কাজ করিত, আর প্রকাশ্যে গরম দলের কাজও গুছাইয়া দিত । অনেক বিলাতী চিনি ও নুন ফেলা ও কাপড় পোড়ানোর সে ছিল পাণ্ড । একবার ক্ষুদিরাম প্ৰভৃতি ছেলেরা গুপ্ত প্যামফ্লেট বিতরণ করিয়া পুলিশের সহিত সংঘর্ষ বাধায়। তাহারও চাই সত্যেন ; নিরাপদ রায় এই মেদিনীপুর শাখার ছেলে ।