পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృుల్ని বালচিকিৎস । পরীক্ষা করিতে সমর্থ হইবেন । শিশুর প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিক্ষেপ অতি গছিত, বরং পরিচারিকার সহিত কথোপকথনচ্ছলে বক্ৰদূষ্টিতে শিশুর মুখভঙ্গিম, শ্বাস প্রশ্বাস-ক্রিয়ার গতি, দ্রুত কি লঘু সম কি অসম ; নিদ্রার অবস্থা, অর্থাৎ ঘোর কি ভঙ্গ নিদ্র, চক্ষু সম্পূর্ণ কি অৰ্দ্ধ মুদ্রিত ; যদি শিশু ক্ৰন্দন করিতে থাকে, তাহার্ম ক্ৰন্দনের অবস্থা, ইত্যদির প্রতি মনোযোগ করবেন। যদি নিদ্রাভঙ্গ না হয়, এই অবস্থায় নাড়ী, বক্ষঃ প্রভৃতি অনায়াসে পরীক্ষা করা যাইতে পারে, আর যদি নিদ্রা হইতে জাগরিত করিবার অবশ্যক হয়, তাছা হইলে যাহাতে নিদ্রাভঙ্গ পরেই তাপরিচিত ব্যক্তির মুখদর্শন করিতে না পায় তাহার প্রতি বিশেষ মনোযোগ করা উচিত। নাড়ী, জিহব ও দন্তমাড়ি প্রভূতি ক্রমান্বয়ে পরীক্ষা করিতে হুইবে । ১ । উদর-পরীক্ষা । এতদ্বারা শরীরের উষ্ণতা, উদরাধঃপ্রদেশের প্রকোষ্ঠ সকলের কাঠিন্য বা কোমলতা, রহদস্ত্ৰ মলে পরিপূর্ণ কি শূন্য, শ্বাস প্রশ্বাসের সংখ্যা, যকৃৎ ও প্লীহার অবস্থা ইত্যাদি,জানা যায়। শৈশবাবস্থায় উদর প্রাচীর শ্বাস গ্রহণ কালে উন্নত এবং প্রশ্বাস কালে অবনত হয়, অতএব উক্ত প্রাচীরের উন্নতি বা অবনতির সংখ্যা গণনা করিলে শ্বাস প্রশ্বাসের সংখ্য নিরূপণ করা যায়। উক্ত প্রাচীর কিঞ্চিৎ চাপিয়া ধরিলে যদি বেদনানুভব হয়, তাহাতে বালক ক্রমদন করিয়৷ উঠে । ২ । বক্ষঃ পরীক্ষ। অব্যবহিত আকর্ণন (Imnedate Auscutation) কর। সর্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য, যেহেতু