পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१®b~ বালচিকিৎসা | উৎপত্তি হওয়াতে পঞ্চম বর্ষ অতীত হইলে আর ইহা দৃষ্টিগোচর হয় না । পীড়া আরম্ভ হইলে লাল নিঃসরণ, স্তন্যপানে যাতনাসুভর, অধোছম্বস্থির নিম্ন ভাগের গ্রন্থি সকলের স্ফীততা ও বেদন হইয়া শিশুর উগ্র স্বভাব, জ্বর, গলাধঃকরণে দুঃখানুভব, ক্ষুধামান্দ্য এবং উদরাময় হয় । এই সময়ে মুখমধ্যে নিরক্ষণ করিলে শ্বেতবর্ণের অগণ্য জলবিম্বের ন্যায় ক্ষুদ্রকোষ দেখিতে পাওয়া যায় এবং এই সকল কোষ বা বুদু ভঙ্গ হইয়া ক্রমশঃ ক্ষত হইতে থাকে, আর ক্ষতস্থান দুৰ্গন্ধ হয়। কখনই দুই তিনটি বুদ্বদ্ব মিলিত হইয়া একটি বৃহৎ ক্ষতে পরিণত হয়। ক্ষত স্থান গুলি অত্যন্ত গভীর না হইলেও ত্বরায় আরোগ্য হয় না, যেহেতু নুতন বুদ্বুদ(I'ollicles) উদ্ভব ও ক্ষত হইয়া পীড়া দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়। ইহা হাম রোগের অনুগামী না হইলে বিশেষ আশঙ্কা করি বার প্রয়োজন নাই, কিন্তু হাম বা অন্য স্ফোটক জ্বরামুষঙ্গিক হইলে শিশুর জীবন রক্ষা পাওয়া সন্দেছ। চিকিৎসা | পাকস্থলী ও অন্ত্রের বিধান বা ক্রিয়ার বিকার জনিত এই পীড়াব উৎপত্তি হয়, অতএব তাহতে মনোযোগ করিলে ইহা সহজেই আরোগ্য হইবে। পূর্বে যে সোহাগা ধোতের (নং৮৩-৮৬) বিষয় উল্লেখ হইয়াছে তাহা এখানেও প্রয়োগ যোগ্য। এতদ্বারা ক্ষতগুলি আরোগ্য ন হইলে, ৫ গ্রেণ নাইট্রেট অব সিলভার অৰ্দ্ধ ছটাক নিৰ্ম্মল জলে মিশ্রিত করিয়া তুলী দ্বারা প্রত্যহ লাগাইলে ক্ষত নিবারণ হইবে।