পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুত্র-ধারণক্ষমতা । \ම්දම් ফলতঃ ইহা বিবিধ কারণে উৎপন্ন হয় । কি প্রকারে প্রস্রাব কাৰ্য্য সম্পন্ন হয়, তাহা অনুসন্ধান করিলে দেখা যায় যে, মুত্র প্রথমে বৃক্ককে উৎপন্ন হইয়া মুত্র নলী দ্বারা মুত্রধারে পতিত হয়। এই মুত্রাধার দুই শ্রেণী পেশী দ্বারা নিৰ্ম্মিত, অর্থাৎ কতকগুলি পেশী মুত্রাধারের মুখ পরিবেষ্টন করিয়া থাকে, অপর গুলি অন্যান্য স্থানে স্থিত হয়। প্রথম শ্ৰেণীস্থ পেশী সঙ্কুচিত হইলে মুত্রাধারের মুখ রুদ্ধ হয় এবং দ্বিতীয়োক্ত পেশী সঙ্কুচিত হইলে মুত্রাধারের মুখ খুলিয়া যায়, তাহাতে প্রস্রাব হইতে থাকে। এইরূপে দুই শ্রেণীস্থ পেশীর ক্রিয়া ভিন্ন ; মুখের পেশী সঙ্কুচিত হইলে মুত্রাধারের কায়স্থিত পেশী গুলি শিথিল হয় । - কোন কারণবশতঃ নিদ্রিতাবস্থায় উভয় শ্রেণীর পেশী গুলির উপর কর্তৃত্ব না থাকিলে, মুত্রাধারের কায়স্থিত পেশী গুলি উত্তেজন জন্য সঙ্কুচিত হয়, তাছাতে অজ্ঞাতসারে মুত্র নিঃসৃত হইয়া থাকে। এই উত্তেজনা যে কত প্রকারে উৎপন্ন হয়, তাহ বলা যায় না। বিবিধ স্নায়বিক পীড়া, বৃক্ককরোগ, মূত্রশিলা, মুত্রাম, শারীরিক দৌৰ্ব্বল্য, ইত্যাদি কারণে এই রোগ উৎপন্ন হইতে পারে। কখন২ দিবাবসানে অধিক জলপান করাতে শিশুগণের মূত্ৰধারণক্ষমতা জন্মে, কখন বা রাত্রিকালে শীতল বায়ুতে শরীর ক্ষেপণ করাতে এরূপ হইয়া থাকে। উত্তান অর্থাৎ চিত হইয়া শয়ন করিলে শিশুগণ মুত্ৰধারণ করিতে পারে না, বিশেষতঃ অধিক পরিমাণে শ্লেষ্মা নির্গত হইয়া মুত্রাধারের কায়স্থিত পেশী মণ্ডলের উত্তেজনা করে। সরলান্ত্রে কৃমি থাকিলেও উত্তেজনা হই