পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ని(S বালচিকিৎসা | পরিমাণ বৃদ্ধি হইতে পারে । কখন২ সশর্কর মুত্র হুইলে এরূপ হইতে পারে, কিন্তু শিশুদিগের সশর্কর মুত্র অতি বিরল। ডাং প্রাউট সাহেব সাত শত রোগীর মধ্যে পণচ বৎসরের নু্যন বয়সে কেবল একটি এবং ডাং ওয়েষ্ট সাহেব দুইটি মাত্র শিশুর এই পীড়া হইতে দেখিয়াছিলেন। পরিপাক ও সমীকরণ ক্রিয়ার ব্যতিক্রম জন্মিলে বৃক্ককের ক্রিয়ার বৃদ্ধি হয়, এবং এইরূপ বৃদ্ধি সচরাচর শিশুর স্তন্য ত্যাগানন্তর হইয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত পরিপাক যন্ত্রের পীড়া হেতু শরীর ক্ষীণ হইলে এই পীড়ার উপলব্ধি হয়। শরীরক্ষয় হুইবার কারণ লক্ষিত না হইলেও কখন২ উক্ত পীড়া হইতে দেখা যায়। ডাং প্রাউট বলেন একটি সুস্থকণয় শিশুর নিরুদ্যমত ক্রমশঃ বৃদ্ধি হইয়া শরীর ক্ষীণ হইতে থাকে, চৰ্ম্ম উষ্ণ, শুষ্ক ও রুক্ষ, উদরাময়, মল হরিদ্বর্ণ, উদরাধান ইত্যাদি লক্ষণ সকল প্রকাশ পায় । প্রস্রাব প্রথমে স্বল্প, গাঢ়বৰ্ণ এবং কিয়ৎক্ষণপাত্রে রাখিলে লিথেটস্ প্রভূতি অধঃপতিত হয়। পীড়া যত বৃদ্ধি হইতে থাকে মূত্রও অধিক পরিমাণে নির্গত হয়, বলিতে কি, ১২ বা ১৮ মাসের শিশুর মুত্র দশ ছটাক হইতে তিন সের পর্যন্ত নিঃসৃত হইতে পারে। এত অধিক পরিমাণে প্রস্রাব নির্গত হইলে পিপাসার অধিক উদ্দীপন হয়, সুতরাং সৰ্ব্বদ জলপান ব্যতীত শিশু থাকিতে পারে না । কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই, পীড়া অত্যন্ত প্রবল ও অনিবার্ষ্য ন হইলে পিতা মাতা শিশুর অবস্থা অনুভব করিতে পারেন না। এইরূপে শরীর শীর্ণ ছইয়া শিশুর ক্ষয়কশ হইতে পারে।