পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্বগচ্ছাদন । 8’SS গ্রন্থির স্ফীতত, লাল নিঃসরণ, দুর্গন্ধ নিশ্বাস বায়ু, শ্বাসকচ্ছ প্রভৃতি দৃষ্টিগোচর হয় না। পীড়া সামান্য বা কঠিন হউক, কুজিতাকাশের লক্ষণ প্রায় বর্তমান থাকে, কিন্তু আমুষঙ্গিক কাশ ও ধাতুম্বনি বা পক্ষিন্ধনি প্রায় থাকে না। নিশ্বাস সহসা সপগর্জনবৎ সশব্দক এবং সময়ে২ শ্বাস-রোধ বা শ্বাস-কছু হইলে জীবন সংশয় হয়, কখনই এই সশব্দক নিশ্বাসের পর ৪ । ৫ ঘণ্টা অসহ যন্ত্রণ ভোগ করিয়া শিশু কলেবর ত্যাগ করে। এই সময়ে যে কোন উপায় অবলম্বন করা যায়, তাছাই নিষ্ফল হয়। শ্বাসনলী আক্রান্ত হইলেই সহসা এইরূপ মৃত্যু হয়। পুীড়া প্রবল হইলেও প্রারম্ভকালে প্রায় সরল থাকে এবং ক্রমশঃ তাহ বৃদ্ধি হয়। দুই এক দিবস পরে যেমন জ্বরের লাঘব হয়, লালাগ্রন্থির স্ফীততাও হ্রাস হয়, কিন্তু অনতিবিলম্বে গুরুতর লক্ষণ সকল প্রকাশ পায় ; অলিজিহা প্রভৃতি লোহিতবর্ণ, গলদেশে বেদন, জিহবার অগ্রভাগ আরক্ত, মধ্যস্থল শ্বেতবর্ণের লেপযুক্ত ও শিখরদেশ শ্লেযুবৎ চৰ্ম্মে আচ্ছাদিত, ইত্যাদি লক্ষণ প্রতীয়মান হয় । কখন২ দন্তমাড়ি আরক্ত কোমল ও স্পঞ্জের ন্যায় দেখায়, লাল নিঃসরণ, স্বরভঙ্গ, ধাতুম্বনিবৎ কাশ, ইত্যাদিও প্রকাশ পায় । শেষোক্ত লক্ষণদ্বয়ের বর্তমামে শ্বাসনলী আক্রান্ত হওয়া সম্ভব। এই প্রবল পুীড়ায় অত্যপকাল মধ্যে অলিজিহ্বা প্রভৃতি ত্বগচ্ছাদিত হইয়া অলপ দিন মধ্যে শিশু কলেবর ত্যাগ করে । এই মৃত্যুর কারণানুসন্ধান করিলে জানা যায় যে, শ্বাসনলী আক্রান্ত না হইলেও এইরূপ ঘটন।