পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুজিত কণশ । 8、念 ও ক্ষণবিলুপ্ত, নিশ্বাস কষ্টজনক, শীশবৎ ও সশব্দক, এবং অচৈতন্য বা অঙ্গক্ষেপ হইয়া শিশু পঞ্চত প্রাপ্ত হয় । দ্বিতীয় ও তৃতীয়াবস্থায় আকর্ণনদ্বারা বক্ষঃপরীক্ষা করিলে দুইটি বিষয় জ্ঞাত হওয়া যায়, অর্থাৎ শ্বাসগ্রহণের অবরোধ এবং ফুফুস বা বায়ু-মলীতে পীড়ার বিস্তার। পীড়ার প্রারম্ভ হইতেই নিশ্বাসের স্বাভাবিক মৰ্ম্মর শব্দ দুর্বল হয় এবং ফুফুসে কোন ব্যাধি না থাকিলে এতদ্ব্যতীত অন্য ব্যতিক্রম জন্মে না। কিন্তু পীড়ার বিস্তার হইয়া মলোষ রোগের উৎপত্তি হইলে কেশ-ঘর্ষণ-শব্দ প্রতীয়মান হয় । কুজিত কাশে যে, পক্ষিস্থনিবৎ শব্দ শুনা যায়, তাহা উক্ত ঘর্ষণ-শব্দ দ্বার। বিলুপ্ত হইতে পারে এবং শ্বাসনলীর ঞ্জৈয়িক বিল্লী স্ফীত ও নির্গলিত ত্বকের দ্বারা অবরুদ্ধ হওয়াতে ফুফুসের স্বাভাবিক মৰ্ম্মৱ শব্দ শুনা যায় না । কাশের আবেগ কালে যত্ন সহকারে আকর্ণন করিলে উক্ত শব্দের দুর্বলতা প্রতীয়মান হয় । কখন২ ফুফুসে প্রদাহ হয় এবং তাহা হইলে ঐ প্রদাহের ভৌতিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। রোগনির্ণয়। কণ্ঠনলী-দ্বার-আক্ষেপ হইলে কুজিত কাশের ন্যায় কাশ উদ্ভব হয়, কিন্তু শৈশবকালে ঐ আক্ষেপ হুইবার কারণ অনেক, এই নিমিত্ত রোগ নির্ণয় করিবার সময়ে এই সকল কারণ স্মরণ রাখা' কৰ্ত্তব্য। দন্তোন্তেদ, অপরিপাচ্য আহারীয় বস্তুর জন্য পাকস্থলীর উত্তেজন, সহস৷ নিদ্ৰাভঙ্গ ইত্যাদি কারণে আক্ষেপ হইতে পারে। পূর্বে কুজিতকাশে ও ত্বগচ্ছাদনে প্রভেদ দেখান হইয়াছে, ফলতঃ রোগাক্রমণের ধারা, স্বরভঙ্গ, শুষ্ক, খন্থখনে ዕ 8