পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হপূশব্দক কাশ। 8.0% হইলে শিশু শ্বাস-গ্রহণ করিতে পারে না, সুতরাং একবার এই কাশ শ্রবণ করিলে আর ভ্রম জন্মাইবার সম্ভাবনা থাকে না । • কণ্ঠনলী শুষ্ক এবং ক্ষুদ্র কণ্টকবিদ্ধ বোধ হইতে থাকে। ইহার অনতি বিলম্বেই দুঃসহ কাশ আরম্ভ হয় । শিশু যেন কোন বাহাবস্তু অাকর্ষণ মানসে গলমধ্যে হস্ত প্রদান করে, কিন্তু তাছার সকল চেষ্টাই বিফল হয়। কাশ আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বে শিশু একবার শ্বাস-গ্রহণ করে, তৎপরে কাশ যত হইতে থাকে, প্রশ্বাস দ্বারা ফুফুসের প্রায় সমস্ত বায়ু বহিগত হইয়া যায়, অথচ এ সময়ে শিশু শ্বাস-গ্রহণ করিতে পারে না। গ্রীবাদেশের ও মুখমণ্ডলের সমস্ত শিরক্ষাত হয়, নেত্রাবরণদ্বয় ফুলিয়ু উঠে, অক্ষিগোলক বহির্নিঃসৃত্যু হয়, চক্ষু রক্তবর্ণ হওয়াতে তথা হইতে অশ্রুধারা পতিত হয়, গণ্ডদেশ ও কর্ণে রক্তাধিক্য হইয়া ক্রমশঃ পৃষ্ঠ, বক্ষঃ ও উদরপ্রদেশে উহা ব্যাপ্ত হইয়। প্রভুত ঘৰ্ম্মে পরিণত হয়। কখন২ শিশু এইরূপে শ্বাস-গ্রহণ করিতে না পারিয়া অচৈতন্য হয় এবং তৎপরে যখন আক্ষেপ নিৰ্বত্ত হয়, তখন এক সুদীর্ঘ সশব্দক নিশ্বাস বহুতে শিশুর জীবন রক্ষা পায়। এই শ্বাস-গ্রহণ কালে যে শব্দ হয়, তাহাকেই হুপ শব্দ কহে। স্বরবর্ণের প্লুত উচ্চারণ যেরূপে করা যায়, হু বর্ণ শীশ দ্বারা সেই রূপে উচ্চারণ করিয়া তৎপরে প যোগ করিলে ঐ শব্দের অনুকরণ করা যাইতে পারে। দিনান্তে এইরূপ কাশের আবেগ কত বার হয়, তাহা বলা যায় না। ইহার প্রবলতা ও সংখ্যা রাত্রিকালে যত বৃদ্ধি